
৪৫ বছর পর প্রথম ভারত-চীন সীমান্তে এক আর্মি অফিসারসহ নিহত হয়েছেন ২০ ভারতীয় সেনা। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভের আগুন বাড়ছে দেশ জুড়ে। প্রায় প্রত্যেকদিন সীমান্তে আর্মি অফিসার স্তরের বৈঠক হওয়া স্বত্বেও পিছু হটছে না চীন।
এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই লে ও শ্রীনগরে এয়ারবেস পরিদর্শন করে এসেছেন ভারতের বিমান বাহিনীর প্রধান আরকেএস ভাদুরিয়া। এয়ারবেস গুলিতে প্রস্তুতি কেমন, তা দেখার জন্যও তিনি গিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে যাতে দ্রুত অ্যাকশন নেয়া যায়, সেই প্রস্তুতিই দেখে এলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ভারত একাধিক ফাইটার জেট সাজাতে শুরু করেছে ওইসব এয়ারবেসে। মনে করা হচ্ছে সীমান্তে পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে এই এয়ারবেসগুলিই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
১৫ জুন গভীর রাতে ভারত ও চীনের সেনার চরম সংঘাত হয়। সেখানেই নিহত হন আর্মি অফিসারসহ ২০ সেনা। অন্তত ৭৬ জন সেনা আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি বলেও জানা গেছে। এই ঘটনার ঠিক পরেই ১৭ ও ১৮ জুন লে ও শ্রীনগরের এয়ারবেস গুলি পরিদর্শন করে আসেন এয়ার ফোর্স চিফ।
অন্যদিকে, খবর এসেছে যে সোমবার রাতে লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর তিন সেনা অফিসারসহ ১০ ভারতীয় সেনাকে আটকে রেখেছিল চীন। কয়েকদিন পরেই ১০ জন ভারতীয় সেনার আধিকারিকসহ দুইজন মেজরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
পিটিআই সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা যায়, তিন দিনের সমঝোতার পর দশজন সেনা আধিকারিকসহ দুইজন মেজরকে ছেড়ে দিয়েছে চীন সেনা, এ বিষয়ের সঙ্গে যুক্তরা এমন তথ্য দিয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত এবং চীন সেনার মধ্যে মুক্তি দেয়া নিয়ে মেজর স্তরের কথাবার্তায় একটি চুক্তি হয়েছে। গালওয়ান ভ্যালিকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে তৃতীয়দিনের জন্য এই পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে।
সংক্ষেপ বিবৃতিতে সেনা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে লাদাখে ভারতের তরফে যে সেনারা ছিলো তাঁরা শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছে, কেউ নিখোঁজ নয় সে বিষয়ে কথা হয়েছে।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের সংঘর্ষের সময় আহত সেনাদের মধ্যে ১৮ জন লে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, বাকি ৫৬ জনের চিকিৎসা চলছে অন্যান্য হাসপাতালে।