
চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী উইঘুরদের জন্মহার নিয়ন্ত্রণে চীন বাধ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ সংক্রান্ত সংবাদকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং।
বার্তা সংস্থা এপির গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে জানানো হয়, নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে মুসলম জনসংখ্যা সীমিত রাখতে উইঘুর নারীদের কাঠামোগতভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করা হচ্ছে। গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হচ্ছে উইঘুর নারীদের।
প্রায় ১০ লাখ উইঘুর জনগোষ্ঠীকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রেখেছে চীন। তবে চীন এগুলোকে ‘পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র’ আখ্যা দিয়েছে। চীনের দাবি, সন্ত্রাসবাদ দমনে এসব কেন্দ্রের প্রয়োজন আছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও দ্রুত চীনকে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
সরকারি পরিসংখ্যান, রাষ্ট্রীয় নথি, সাবেক বন্দি, পরিবারের সদস্য এবং ডিটেনশন ক্যাম্পের সাবেক পরামর্শকের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই অনুসন্ধান চালিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।
এপির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চীন নিয়মিতভাবে সংখ্যালঘু নারীদের গর্ভ পরীক্ষা করেছে এবং বন্ধ্যাত্ব করতে বাধ্য করেছে। বেশি সন্তান থাকায় অনেক মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে। তিন বা তার বেশি সন্তান থাকলে বিপুল পরিমাণ জরিমানা দিতে হচ্ছে আর ব্যর্থ হলে বাবা-মায়েদের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আবার লুকিয়ে রাখা সন্তান খুঁজে বের করতে পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায়।
সাক্ষাৎকারে চীনা বংশোদ্ভূত কাজাখ নারী গুলনার ওমিরজাখ জানিয়েছেন, তার তৃতীয় সন্তান জন্মের পর চীন সরকার তাকে আইইউডি প্লান্ট (জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি) গ্রহণের নির্দেশ দেয়। দুই বছর পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে সামরিক পোশাকে চার কর্মকর্তা তার বাড়িতে হাজির হয়। দুই সন্তানের বেশি থাকায় ওমিরজাখকে তিন দিনের মধ্যে দুই হাজার ইউরো জরিমানা দেয়ার নির্দেশ দেয়। না দিতে পারলে তাকে তার স্বামীর সঙ্গে ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়।
তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, গণমাধ্যম জিনজিয়াং নিয়ে মিথ্যা খবর প্রচার করছে।