নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলাকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২০, ০৯:৩৪

ব্রেন্টন টারান্ট
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ব্রেন্টন টারান্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত টারান্টের প্যারোলে মুক্তি পাওয়ারও কোনো সুযোগ থাকবে না। এই প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডে প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেয়া হলো।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দণ্ডাদেশ ঘোষণার সময় বিচারক মন্তব্য করেন, ব্রেন্টন টারান্ট পরিকল্পিতভাবে দুইটি মসজিদে হামলা করেন এবং তিনি তার কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত নন।
টারান্টের বিরুদ্ধে আনা ৫১টি খুন, ৪০টি খুনের চেষ্টা ও সন্ত্রাসবাদের একটি অভিযোগের দায় স্বীকার করেছে সে।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নুর ও লিনউড মসজিদে হামলা চালান টারান্ট। মসজিদ দু’টিতে জুমার নামাজের সময় অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালান তিনি। হামলার ঘটনা ফেসবুক লাইভে প্রচারও করেন। ১৭ মিনিট ধরে ওই হামলার সরাসরি ভিডিও প্রচারিত হয়।
হামলায় নিহতরা
মুসল্লিদের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একের পর এক গুলি ছুড়তে থাকেন শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদে বিশ্বাসী টারান্ট। এ হামলায় ৫১ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হন। এমন নৃশংস হামলায় নিউজিল্যান্ডসহ হতবাক হয়ে যায় সারাবিশ্বের মানুষ।
টারান্টের বিচারের শুনানি চারদিন ধরে চলেছে এবং এই সময়ে ৬০ জনের বেশি ভুক্তভোগীর বিবৃতি শুনেছেন আদালত। বিবৃতির শেষদিনে আদালতে কোরআন থেকে পাঠ করা হয় এবং ভুক্তভোগীদের মারা যাওয়া পরিবারের সদস্যদের ছবি দেখানো হয়। এসময় বন্দুকধারী টারান্ট আদালতে কথা বলেননি।
করোনাভাইরাস মহামারির রোধে বিধিনিষেধের কারণে আদালত কক্ষ প্রায় খালিই ছিল। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভিডিও ফিডের মাধ্যমে শহরের অন্যান্য আদালত কক্ষে হাজার হাজার মানুষ আদালতের কার্যক্রম দেখানো হয়েছে।
ধুসর রঙের পোশাক ও তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার বেষ্টনীতে টারান্ট পুরো সময় চুপচাপ ছিলেন বলে জানা যায়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বার্নাবি হাওয়েজ আদালতকে বলেছেন, ওই হামলার জন্য বন্দুকধারী বহু বছর ধরে পরিকল্পনা করছিল। তার উদ্দেশ্যে ছিল যত বেশি সম্ভব মানুষকে হতাহত করা। -বিবিসি