কাশ্মীরে ফারুক আব্দুল্লাহর মেয়ে ও বোন গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১৯

কাশ্মীরে ফারুক আব্দুল্লাহর বোন ও মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: পার্সটুডে
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ডা. ফারুক আব্দুল্লাহর মেয়ে সাফিয়া আব্দুল্লাহ খান ও বোন সুরাইয়া।
ওই দু’জন ছাড়াও আরো নারীদের আটক করেছে পুলিশ। এই বিক্ষোভের পরে আজ কাশ্মীরে এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও এটিকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার শ্রীনগরে ওই বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভকারী নারীরা পুলিশি নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে প্ল্যাকার্ড, পোস্টারসহ লালচকের প্রতাপ পার্কে জড়ো হয়েছিলেন।
তাদের মধ্যে ছিলেন কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সাবেক প্রধান মুসলিম জান ও লেখিকা কুরাত উল ইনের মতো বিশিষ্ট জনেরাও। অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী যশবন্ত সিন্হার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর সদস্য যশোদা ভারতীও হাজির ছিলেন।
লালচকের কাছে সাংবাদিক কলোনি প্রতাপ পার্কে ওই বিক্ষোভ জমায়েতে সুরাইয়া আবদুল্লাহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের সবাইকে আটকে রেখে ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছিল। এ জিনিস চলতে পারে না।’
এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদেরকে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কাশ্মীরের নারীরা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা অপসারণের একতরফা সিদ্ধান্ত ও রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
তারা অবিলম্বে আটকদের মুক্তি দেয়াসহ গ্রামীণ ও শহর এলাকাকে অসামরিকীকরণের দাবি জানিয়েছেন। তারা কাশ্মীরে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের জন্য জাতীয় গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশের কথাও বলেন।
বন্দি বিক্ষোভকারীদের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কাশ্মীরে এখনো ১৪৪ ধারা কার্যকর আছে। তা ভেঙে জমায়েত করায় বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আড়াই মাস হয়ে গেলেও উপত্যকা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যটক হাতে গোনা। গতকাল সোমবার থেকে চালু করা হয়েছে পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক নেতারা এখনো গৃহবন্দী। ফারুক আবদুল্লাহ, ওমর আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতিসহ শীর্ষ নেতাদের জননিরাপত্তা আইনে বন্দী করে রাখা হয়েছে। ওই আইনে বিনা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়।
গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করাকে কেন্দ্র করে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ হিসেবে সেখানে যোগাযোগ পরিসেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়। -আনন্দবাজার পত্রিকা