
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্বব্যাপী আরো চার কোটি ৭০ লাখ নারী ও কিশোরীকে দরিদ্রসীমার নিচের জীবনযাপনের দিকে ঠেলে দেবে।
জাতিসংঘের লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক সংস্থা ইউএন ওমেন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত সংস্থা দুইটির পরিচালিত এক জরিপের তথ্যে দেখা যায়, নারীদের দারিদ্র্যের হার ৯.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কভিড-১৯ এর আগে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এ হারটি ২.৭ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে অনুমান করা হয়েছিল।
এই মহামারি সব মিলিয়ে ৯ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে আগামী বছরের মধ্যে চরম দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেবে। এদের প্রায় অর্ধেক নারী ও কিশোরী।
জরিপ অনুযায়ী, মহামারির কারণে সাধারণত বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের ওপর প্রভাব পড়বে, নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, বিশেষ করে প্রজনন বয়সের নারীরা।
ইউএন উইমেনের প্রধান ফুমজিল এমলাম্বো-এনজিচুকা বলেন, আমরা জানি নারীরা পরিবারের যত্নের জন্য অধিকাংশ দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তাদের আয় কম, সঞ্চয় কম ও চাকরির নিরাপত্তা অনেক কম। বাস্তবে নারীদের কর্মসংস্থান পুরুষদের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
জাতিসংঘের অনুমান, অর্থনৈতিক পতন ও চাকরি হারানোর কারণে পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক নারী দরিদ্র হবে। সাব-সাহারা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে অনানুষ্ঠানিক শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইউএন ওমেন জানিয়েছে, দীর্ঘ সময়ে লকডাউনে খুচরাবাজার, রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মহামারিকালে পুরুষদের তুলনায় নারীরা দ্রুত চাকরি হারিয়েছে। গৃহস্থালী কর্ম ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মতো অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে সম্পৃক্ত নারীদের স্বাস্থ্যসেবা, বেকারভাতা বা অন্যান্য সুরক্ষা নেই বা থাকলেও তা খুবই সামান্য।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে গত জুনে বিশ্বের ৭০ শতাংশ গৃহস্থালী কর্মী তাদের চাকরি হারিয়েছে।