Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

রাজনৈতিক সংকটে পাকিস্তান: ক্ষমতায় ইমরানই থাকছেন

Icon

স্বর্ণা চৌধুরী

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২০, ০৯:০২

রাজনৈতিক সংকটে পাকিস্তান: ক্ষমতায় ইমরানই থাকছেন

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া পাকিস্তানের রাজনীতিতে কখনোই দীর্ঘদিনের স্থিতাবস্থা দেখা যায়নি। বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে সেনাশাসনে। ফলে দুর্নীতি যেমন রাজনীতিতে স্থায়ীভাবে বাসা বেঁধেছে; তেমনি রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপ সাধারণ রীতিতে পরিণত হয়েছে। 

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ক্ষমতায় আসার পেছনেও সেনাবাহিনীর সুস্পষ্ট মদদ ছিল। তবে সম্প্রতি সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর ঘটনা কোনো কোনো পদস্থ সেনা কর্মকর্তাও ভালো চোখে দেখেননি। আবার সৌদি রাজতন্ত্রের অঘোষিত শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আগেই সেনাবাহিনীর একাংশের সমর্থন হারিয়েছে ইমরান খানের সরকার। 

এখন ইমরান সরকারের পতন ঘটাতে এক জোট হয়েছে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো। অর্থনৈতিক দুরবস্থা, দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সরকারবিরোধী আন্দোলনে সেনাপ্রধান ও রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপ নিয়ে বক্তব্য দেয়ার সাহস পাচ্ছেন বিরোধী নেতারা। এরই মধ্যে সিন্ধু প্রদেশের পুলিশ প্রধান মুশতাক আহমেদ মাহারকে অপহরণের অভিযোগে পাকিস্তানে গভীর রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব সহসাই কাটছে না। তবে জনপ্রিয়তার জোর ও অন্য বিকল্প না থাকায় সংকট সহকারে ইমরানই ক্ষমতায় থাকছেন।

এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানান, রাজনৈতিক নেতাদের আটক করতে না চাওয়ায় পুলিশ প্রধানের বাড়িতে ৯ গাড়ি আধা-সামরিক বাহিনী ‘রেঞ্জার্স’ পাঠানো হয়। 

তিনি আরো বলেন, ‘গত ১৯ অক্টোবর ভোর ৪টায় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) কিছুটা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। কারণ তারা সফদার আওয়ানকে গ্রেফতার করতে পারছিল না। এরপর গোয়েন্দারা আধা-সামরিক বাহিনীর গাড়িতে করে পুলিশ প্রধান মাহারের বাড়ি যান ও তাকে আইএসআই সেক্টর কমান্ডারের সাথে সাক্ষাৎ করতে বাধ্য করেন। পুলিশ প্রধানের কাছ থেকে জোরপূর্বক গ্রেফতারের সম্মতি আদায় করা হয়। পুলিশ প্রধানকে অপহরণ করা হয়নি। তবে অসম্মানজনক আচরণ করে তাকে চাপের মুখে গ্রেফতারের আদেশ দিতে বাধ্য করা হয়।’ 

পুলিশ প্রধানের সম্মতি আদায় করে বিরোধী নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের স্বামী সাফদার আওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। করাচিতে পাকিস্তানের জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সমাধিতে যাওয়ার সময় রাজনৈতিক স্লোগান দেয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সরকারবিরোধী আন্দোলনে তিনি শুরু থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পরে সিন্ধু হাইকোর্ট থেকে জামিন পান সাফদার আওয়ান। তাকে গ্রেফতারের সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েকজন সাংবাদিক ও বিরোধী দলীয় নেতাকেও গ্রেফতার করা হয়। সেনাবাহিনী ও সরকারের সমালোচনা করায় তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।

এ ঘটনার পর সরকারবিরোধী আন্দোলন আরো জোরদার হয়েছে, যা ইমরান ক্ষমতায় আসার পর গত দুই বছরের মধ্যে পাকিস্তানে সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তানের ১১টি শীর্ষ রাজনৈতিক দল খাদ্য ঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতি ও সেনাবাহিনীর রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামে জোটবদ্ধ হয়ে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে ইমরানের সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই বিভিন্ন দল সরকারের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়েছে। নওয়াজ শরীফ ছাড়াও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলি জারদারি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও নওয়াজ শরীফের ভাই শেহবাজ শরীফ ও অন্য শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। 

এর মধ্যে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনের কিছুদিন আগে নওয়াজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে ব্রিটেনে রয়েছেন। সেখান থেকে দেয়া এক ভিডিও বক্তব্যে নওয়াজ বলেন, তার সরকারের পতন ঘটাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেনাপ্রধান বাজওয়া। রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপের অভিযোগও তোলেন তিনি। 

উল্লেখ্য, ইমরানের শাসনে শুরু থেকে সেনাবাহিনী নির্বাহী প্রশাসনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে আসছে। নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছেন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তারা। ৬০ বিলিয়ন ডলারের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্পের প্রধান করা হয়েছে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল অসীম সলীম বাজওয়াকে। গুজরানওয়ালায় নওয়াজ ভার্চুয়াল ভাষণে এই জেনারেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন। পরে অসীম বাজওয়া তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

বেশ কয়েক বছর ধরেই গভীর সংকটে রয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক ২০২০-এ আইএমএফ জানায়, পাকিস্তানের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ১ শতাংশ। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) মতে এটি ০.৪ শতাংশ। গড় মুদ্রাস্ফীতি হবে ১০ শতাংশে পৌঁছেছে। এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির আওতায় আইএমএফ কাঠামোগত সংস্কারের কথা বলছে। তাতে কর সংস্কার, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কথা রয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন না করলে আইএমএফ তাদের পরবর্তী অর্থ ছাড় দেবে না।

চলতি বছরের শুরু থেকেই দলের ভেতর কোন্দল, বিবিধ রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি ফাঁস ও সরকার চালাতে হিমশিম খাওয়া দেখে অনেকেই ইমরানের পতনের দিন গুনছিলেন। কেউ ভেবেছিলেন রাজনৈতিক ঝড় এসে ইমরানের সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। তবে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় খেলোয়াড় দেশটির সেনাবাহিনী। তাদের হস্তক্ষেপে প্রায় কোনো প্রধানমন্ত্রীই মেয়াদ পুরো করতে পারেন না। তবে ইমরানের অবস্থা নড়বড়ে হলেও তিনি হয়তো এ যাত্রায় উতরে যাবেন। 

ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে লেখা এক কলামে ওয়াশিংটনের উড্রো উইলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্কলারসের এশিয়া প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘ইমরানের পরিণতি পূর্বসূরিদের মতো হচ্ছে না। বরং তারই মেয়াদের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার সম্ভাবনা জোরদার। বিরোধী দলের দুর্বল নেতৃত্ব, ইমরানের ব্যক্তিগত ও কৌশলগত অবস্থান এবং সর্বোপরি সেনাবাহিনীর মদদ তাকে টিকিয়ে রাখছে। তবে পরিস্থিতির উত্তাপ তিনি টের পাচ্ছেন।’

চলতি বছরের জুনে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফে (পিটিআই) অন্তর্কোন্দলের গুজব সত্য হয়ে ওঠে। ইমরানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী টেলিভিশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি, পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ ওমর ও জ্যেষ্ঠ পিটিআই নেতা জাহাঙ্গীর তারিনের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হন। 

এর মধ্যেই প্রকাশিত হয় দুটি বড় কেলেঙ্কারির খবর। জুন মাসে বিমানমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের ৯০০ পাইলটের তিন ভাগেরই বিমান চালানোর লাইসেন্স নকল এবং তারা এ কাজে অযোগ্য। এর পর সরকারের একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদন ফাঁস হলে জানা যায়, মন্ত্রী তারিন এবং পিটিআই বহির্ভূত কয়েকজন ক্ষমতাসীন নেতা দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। যে কোনো নেতার জন্যই এ ধরনের কেলেঙ্কারি ভয়ানক। ইমরানের জন্য তা আরও ধ্বংসাত্মক, কারণ তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করেই ভাবমূর্তি গড়েছিলেন। এর মধ্যে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে এলো করোনাভাইরাস মহামারি। অর্থনৈতিক দুর্গতির সঙ্গে মিলে করোনাভাইরাস পাকিস্তানের জিডিপিকে ১-এর নিচে নামাবে বলে বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেন। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ইমরান অক্ষম, এমন মন্তব্য তার দলের লোকজনও করতে থাকে। এর জবাবে ইমরান তাৎক্ষণিক বড় এক দল উচ্চ মানসম্পন্ন বিশেষ সহকারী নিয়োগ দেন।

মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘ইমরানের এ দুরবস্থা কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলগুলো শক্তি সংগ্রহ করতে পারে; কিন্তু ইমরানকে উচ্ছেদ করার মতো গণআন্দোলন জাগাতে তারা অক্ষম। তারা নিজেরাই বিভক্ত। আর ইমরান এখনো সামরিক বাহিনীর আস্থাভাজন লোক। যে দেশে সেনাবাহিনীর অনুমোদন না থাকলে কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না, সেখানে এটি বিরাট বিষয়।’ উল্লেখ্য, ইমরানের সরকারি নীতিতে, বিশেষ করে সিভিল সরকারের অভ্যন্তরীণ কর্মসূচির বেলায়ও সেনাবাহিনীর প্রভাবের বিপক্ষে দাঁড়াননি। বিগত সময়ে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগ (নওয়াজ) সরকার চলেছিল এর উল্টো পথে। এর ফলেই সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজ শরিফকে নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করে বলে অভিযোগ রয়েছে, যার ফলে নওয়াজ সরকারের পতন হয়।

পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর পর ইমরান খানই হলেন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। আমেরিকা সফরে গিয়ে ইমরান যেভাবে প্রভাবশালী বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন, যেভাবে গত বছর ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে কৌশলী আচরণ করেছেন, তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ইমরান খান ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর ঋণ মওকুফের প্রস্তাব তুলেছেন, অনেক দেশ সে জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। বিদেশে ইমরানের এসব সুকীর্তি দেশের ভেতরের ব্যর্থতাকে ম্লান করে দিয়েছে। সামনে রয়েছে আরও তিন বছরের মেয়াদ। পাকিস্তানের বাস্তবতায় অতি দীর্ঘ একটি সময়। এ সময়ে যে কোনো পরিবর্তন আসতেও পারে।

উল্লেখ্য, জন্মের পর থেকে প্রায় অর্ধেক সময় পাকিস্তানকে সরাসরি শাসন করেছে সেনাবাহিনী। বিশেষ করে পররাষ্ট্র ও জাতীয় সুরক্ষা নীতিতে বরাবরই হস্তক্ষেপ ছিল সামরিক বাহিনীর। বর্তমান ইমরান খান সরকারের আমলে এ ভূমিকা আরও বেড়েছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করারও সুযোগ নেই। ফলে গঠনগতভাবে সেনা আমলাতন্ত্রই হয়ে ওঠে পাকিস্তানের রাজনীতি ও অর্থনীতির মূল নির্ধারক। যে বিরোধী নেতারা রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বলছেন, তারাও যে সেনাবাহিনীর আনুকূল্য পেতে মরিয়া, সেটি তাদের সেনা প্রশংসার ফুলঝুরি দেখলেই বোঝা যায়।

ইমরান খানের সরকার বিভিন্ন ইস্যুতে সেনা হস্তক্ষেপের বাইরেও অবস্থান নিয়েছে। যেমন- সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে পাকিস্তান সরকারের, উন্নতি হয়েছে তুরস্কের সঙ্গে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অবস্থান এ থেকে ভিন্ন। এখনো সৌদি আরবে কর্মরত আছেন হাজার হাজার সেনা সদস্য। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পাকিস্তানের সৌদিপন্থী অবস্থান থেকে সরে আসাটা মেনে নেয়নি দেশটির সেনা প্রশাসন। আর এ কারণে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান সরকারের খানিকটা দূরত্বও তৈরি হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণে জানা যায়। তবে এখনো সেনা প্রশাসনের কাছে ইমরান খান থেকে আস্থাভাজন কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে ইমরান খান পাকিস্তানে এখনো যথেষ্ট জনপ্রিয়। 

তাই আপাতত যত আন্দোলনই হোক, ইমরানই ক্ষমতায় থাকছেন- এটুকু মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে সেনা হস্তক্ষেপের ইস্যু খুব বেশি এগোবে না বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের। কার্যত পাকিস্তান এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে সেনা হস্তক্ষেপের বাইরে কোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই বললেই চলে। আর এ অবস্থার পরিবর্তন যে সহসাই হচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫