যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনায় বিদেশি কোনো পক্ষ হস্তক্ষেপ করেছে, এমন কোনো প্রমাণ সরকারের কাছে নেই।

দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সাইবার বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার ক্রেবস একথা জানিয়েছেন। 

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কোনো বিদেশি পক্ষ মার্কিন নাগরিককে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখতে পেরেছে অথবা ভোটের গণনায় পরিবর্তন করতে পেরেছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

ক্রেবস বলেন, ভোট গণনার প্রক্রিয়া চলাকালীন বা চূড়ান্ত ফলাফল আসার আগে বিদেশি কোনো পক্ষ যেন প্রভাব খাটাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নজরদারি অব্যাহত রাখবো আমরা।

২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের বিপক্ষে নির্বাচনের ফল প্রভাবিত করার চেষ্টার পেছনে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

এদিকে এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শিবির এখন পর্যন্ত কারচুপির অভিযোগ করার পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে ভোট গণনার ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি। জর্জিয়া, পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও মিশিগানে ভোট গণনা বন্ধের দাবি করে মামলা করেছে ট্রাম্প শিবির।

এছাড়া পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে ভোট গণনার ক্ষেত্রে জালিয়াতি খুবই বিরল।

ট্রাম্প বারবার এই অভিযোগ তুলেছেন যে পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে ব্যাপক আকারে জালিয়াতি হতে পারে। এছাড়া জালিয়াতির আর যা অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় অপ্রমাণিত গুজব। -বিবিসি