
নির্বাচনে কোনো ধরনের ভোট জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা এলেন উইনট্রব।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এলেন বলেন, দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তা এবং নির্বাচনী কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, তাতে খুবই নগণ্য অভিযোগ এসেছে। বাস্তবসম্মত ও অকাট্য প্রমাণ আছে এমন অভিযোগ খুবই কম। ভোট জালিয়াতির কোনো প্রমাণ নেই। অবৈধ ভোট নেয়া হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। মুখে কিছু বলে দিলেই তো হলো না।
এলেন আরো বলেন, দেশজুড়ে সাধারণ মানুষ, নিরপেক্ষ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা দেখছেন নির্বাচন কীভাবে হয়েছে। তারা কেউ নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি।
ভোটের লড়াইয়ে ক্রমশ পিছিয়ে পড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনের দিন থেকে প্রমাণ ছাড়াই ভোট কারচুপির অভিযোগ করে আসছেন।
শনিবার এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, নির্বাচনী রাতে এসব রাজ্যে আমি বড় ব্যবধানে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে, সেই ব্যবধান অলৌকিকভাবে কমে যাচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া সামনে এগুলো সম্ভবত সেই ব্যবধান আবার ফিরে আসবে।
নির্বাচনের এখন পর্যন্ত পাওয়া ফল অনুযায়ী জো বাইডেন ২৫৩ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্সি গঠনের জন্য একজন প্রার্থীর প্রয়োজন ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট। এখনো মোট ছয়টি অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা সম্পন্ন হয়নি। এগুলো হলো- আলাস্কা, অ্যারিজোনা, নর্থ ক্যারোলাইনা, নেভাদা, পেনসিলভেনিয়া ও জর্জিয়া। এই ছয় অঙ্গরাজ্যে মোট ৭১টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। এর মধ্যে আলাস্কার ৩টি ইলেকটোরাল ভোট ট্রাম্পের পাওয়া নিশ্চিত। ফলে বাকি ৬৮টি ইলেকটোরাল ভোট নিয়েই চলছে মূল লড়াই, যেখানে বাইডেন বেশ স্বস্তিকরভাবেই এগিয়ে রয়েছেন।