যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার সহযোগী রন ক্লেইনকে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

গতকাল বুধবার (১১ নভেম্বর) স্টাফ প্রধান হিসেবে কাজ করেন ৫৯ বছর বয়সী রনের নাম ঘোষণা করেন বাইডেন। হোয়াইট হাউসের স্টাফ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটি তার প্রথম ব্যক্তিগত পছন্দের প্রকাশ। 

বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, রন অনেক বছর ধরে আমার কাছে অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। আমরা একসাথে কাজ করেছি। আর এই কাজের মধ্য দিয়েই আমি তার কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ পেয়েছি।  

১৯৮০ সাল থেকে বাইডেনের সাথে আছেন ক্লেইন। প্রথমে সিনেটের বিচারবিভাগীয় কমিটিতে, তারপর ভাইস প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ হিসাবে। বারাক ওবামা যখন প্রেসিডেন্ট তখনো তিনি হোয়াইট হাউসে উচ্চ পদে ছিলেন। আল গোর যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট তখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টের চিফ অফ স্টাফ ছিলেন।

হোয়াইট হাউসে চিফ অফ স্টাফের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি প্রেসিডেন্টের প্রতিদিনের কর্মসূচি ঠিক করেন। তাকে বলা হয় গেটকিপার। প্রেসিডেন্টের কাছে পৌঁছাতে গেলে আগে তার অনুমোদন জরুরি। এ পদে নিয়োগ প্রায়শই রাজনৈতিকভাবে হয় ও তার জন্য সিনেটের অনুমোদন লাগে না।  

রনের ব্যাপক প্রশংসা করে বাইডেন বলেছেন, ক্লেইনের অভিজ্ঞতা অপরিসীম। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে কাজ করেছেন। হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ হতে গেলে এটাই দরকার। আমরা একটা সংকট সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা আপাতত সবচেয়ে বড় কাজ।

নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার ওপর আস্থা রাখায় তিনি ‘গর্বিত’ বলে এক বিবৃতিতে রন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট এই আস্থা রেখেছেন জেনে গর্বিত। হোয়াইট হাউসে তাকে সাহায্য করার জন্য মুখিয়ে আছি। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ইলেক্টের একটা উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনা আছে। তারা পরিবর্তন আনতে চান। ক্ষত সারিয়ে দেশকে আবার ঐক্যবদ্ধ করতে চান।

এদিকে হোয়াইট হাউস না ছাড়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো অনড়। এতকিছুর পরেও তার সহযোগীরা বলছেন, ট্রাম্পই প্রেসিডেন্ট থেকে যাবেন। -ডয়চে ভেলে, বিবিসি ও এএফপি