
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দিন দিন আরো প্রকোট আকার ধারণ করা এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে।
ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার ১১ মাসের মধ্যেই এতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে।
জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার তথ্য অনুসারে, বৈশ্বিক এ মহামারিতে আক্রান্তের হার দ্রুত বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৮ জন।
আর বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪০৮ জনে। ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে তিন কোটি ৭৫ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কা ঠেকাতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি এই তিন দেশে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এখনো ব্যাপক হারে সেখানে করোনার বিস্তার হচ্ছে। দ্রুত আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও থেমে নেই। সবচেয়ে বিপর্যস্ত এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৩৬৪ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৪৯ হাজার ৯৭৫ জনের।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৭ লাখ ৭৩ হাজার ২৪৩ জন। মারা গেছেন ১ লাখ ২৯ হাজার ২২৫ জন মানুষ।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৪৯৬ জন। মারা গেছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৬ জন মানুষ।
তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান চতুর্থ, রাশিয়া পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্পেন। আর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৪তম।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।
এখন পর্যন্ত ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছে এই ভাইরাস। সংক্রমণ শুরুর দেড় মাসের মধ্যে এন্টার্কটিকা বাদে সব মহাদেশেই ধরা পড়ে রোগী। পরে গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।