ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে আসছেন না যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গতকাল মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে এ কথা জানিয়েছেন বরিস নিজেই। 

১০ ডাউনিং স্ট্রিটের অফিস একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ ও লকডাউনের কারণে ভারতে আসতে পারছেন না বরিস। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় অন্য কাউকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সোমবারই বরিস যুক্তরাজ্যে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত লকডাউন চলার কথা। যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন স্ট্রেইন আসার পরেই এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। 

ডিসেম্বরের শেষ দিনে ৮০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন স্ট্রেইন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ঘরে ঘরে। তারই জেরে লকডাউন ঘোষণা করেছেন বরিস। মঙ্গলবার তিনি মোদিকে ফোন করে বলেছেন, যেভাবে করোনা ছড়াচ্ছে তাতে এই মুহূর্তে দেশ ছাড়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণেই ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে আসতে পারবেন না তিনি। ব্রেক্সিটের পরে এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর হওয়ার কথা ছিল।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আসা অনিশ্চিত হয়েছিল আগেই। দেশটির মেডিকেল কাউন্সিলের প্রধান মাসখানেক আগেই জানিয়েছিলেন, যেভাবে যুক্তরাজ্যে নতুন স্ট্রেইন ছড়াচ্ছে, তাতে কোনোভাবেই প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর করা উচিত হবে না। তার শরীরেও নতুন স্ট্রেইন থাকতে পারে এবং তার মাধ্যমে অন্য দেশে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অন্যদিকে ভারতে কৃষক আন্দোলন চলছে। বহু শিখ পাঞ্জাবি কৃষক সেই আন্দোলনে রয়েছেন। তারা ব্রিটিশ শিখ রাজনীতিবিদদের সাহায্যে বরিস জনসনের অফিসে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। যেখানে তারা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, তিনি যেন ভারতে না আসেন। কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে যেন তিনি এই পদক্ষেপ নেন। বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও আলোচনা হয়েছে।

তবে মঙ্গলবার মোদি ও বরিসের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে অবশ্য এ বিষয়ে কোনো আলোচনা করেননি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। -ডয়চে ভেলে