Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

অঙ্গরাজ্য পরিষদের সামনে সশস্ত্র ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:৫৪

অঙ্গরাজ্য পরিষদের সামনে সশস্ত্র ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ

ছবি: ডয়চে ভেলে

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য আইনসভার সামনে কাছে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ হয়েছে, ছোট ছোট দলে জড়ো হওয়া প্রতিবাদকারীদের কিছু অংশ সশস্ত্র ছিল।

ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে সহিংস হামলার পর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র নতুন করে সহিংসতার শঙ্কার মধ্যেই এসব ঘটনা ঘটছে।

টেক্সাস, ওরেগন, মিশিগান, ওহাইও ও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের স্থানীয় ক্যাপিটল ভবনের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা কড়াকড়ি আরোপ করার পর গতকাল রবিবার (১৭ জানুয়ারি) অন্য অনেক রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত ছিল।

এফবিআই সতর্ক করে বলেছে, আগামী বুধবার (২০ জানুয়ারি) নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেককে সামনে রেখে সশস্ত্র বিক্ষোভ হতে পারে।

গত ৬ জানুয়ারি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকরা ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটানার দুই সপ্তাহ পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বাইডেন। ওই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত হন।

এই সপ্তাহান্তে সম্ভাব্য সহিংসতার আশঙ্কায় বহু শহরেই নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। শহরগুলোতে ব্যারিকেড বসানো হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল হাজার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য।

ট্রাম্প সমর্থক ও কট্টর ডানপন্থীদের অনলাইন নেটওয়ার্কগুলোতে রবিবার সশস্ত্র বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়ে পোস্ট করা হয়। যদিও কিছু মিলিশিয়া তাদের সমর্থকদের এই বিক্ষোভে যোগ না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তারা বলেছিল, নিরাপত্তা কড়াকড়ির মধ্যে এসব বিক্ষোভে যোগ দেয়া হবে ফাঁদে পা দেয়ার শামিল।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ওহাইও অঙ্গরাজ্যের কলম্বাসের স্টেট হাউসের সামনে বুগালু বয়েস আন্দোলনের জনা পঁচিশেক সদস্য জড়ো হয়েছিল, যারা ভারি অস্ত্রে সজ্জিত ছিল। তবে মার্কিন সরকারকে উৎখাত করতে চাওয়া এই চরমপন্থী গোষ্ঠীটি বলছে, তাদের এই জমায়েত ছিল আগ্নেয়াস্ত্রের অধিকারের পক্ষে অনেক আগে পরিকল্পনা করা একটি সমাবেশ।

মিশিগানে কুড়ি-পঁচিশজন মানুষকে দেখা যায় ল্যানসিংয়ের স্টেট হাউসের সামনে প্রতিবাদ করতে। এদের কয়েকজনের হাতে রাইফেল ছিল। এক বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমি এখানে সহিংস হতে আসিনি ও আমি আশা করি কেউই সহিংসতা দেখাবে না।

ডজনখানেক বিক্ষোভকারীর একটি ছোট দল জড়ো হয়েছিল অস্টিন শহরে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটলের সামনে। এদেরও কয়েকজনের হাতে রাইফেল ছিল।

এদিকে বাইডেনের অভিষেকের দিন বিক্ষোভ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওয়াশিংটনের নিরাপত্তার জন্য ২৫ হাজারের বেশি ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে কর্মকর্তারা কতটা চিন্তিত তা বোঝার জন্য এই তথ্যই যথেষ্ট। আর্মি সেক্রেটারি রায়ান ম্যাককার্থি সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে রবিবার বলেছেন, অভ্যন্তরীণ হুমকির আশঙ্কায় প্রত্যেক ন্যাশনাল গার্ড সদস্যের অতীত পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।

গতকালই নিউ মেক্সিকোর এক কাউন্টি কর্মকর্তাকে ওয়াশিংটনে গ্রেফতার করা হয় ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল ভবনের দাঙ্গার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে।

কাউ বয়েজ ফর ট্রাম্প নামে একটি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা কুই গ্রিফিন প্রতিজ্ঞা করেছেন, তিনি অভিষেকের দিন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ফিরে আসবেন।

হোয়াইট হাউসে প্রথমদিনেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দেয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বাইডেন। আর প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আবারো অংশীদার করবেন যুক্তরাষ্ট্রকে।

বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আলাদা হওয়া পরিবারগুলোকে একীভূত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অভিষেকের আগে ওয়াশিংটন ডিসির অধিকাংশ এলাকাকেই লকডাউন করে রাখা হয়েছে। অভিষেকের দিন সাধারণত ন্যাশনাল ম্যালে বহু মানুষের সমাগম ঘটে, তবে সিক্রেট সার্ভিসের অনুরোধে এবারে তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

বাইডেনের কর্মকর্তারা এরই মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, মহামারির কারণে তারা যেন অভিষেকে অংশ নেয়ার জন্য ওয়াশিংটনে না আসেন।

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষের উচিত হবে দূর থেকে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করা। -বিবিসি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫