
যুক্তরাজ্যে চিহ্নিত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি বেশি প্রাণঘাতী হতে পারে। প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণে এমন ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি লন্ডন ও দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে পাওয়া এ ধরনটিতে মৃত্যুহার বেশি হতে পারে বলে কিছু কিছু তথ্যপ্রমাণে মনে হচ্ছে।
এদিকে ব্রিটিশ সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভাল্যান্সও বলেছেন, নতুন ধরনের ভাইরাসটি মূল ভাইরাসের চেয়ে বেশি মৃত্যুর ঝুঁকি বহন করে। করোনার নতুন ধরনটিতে আক্রান্তদের বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে।
গতকাল শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত এক হাজার ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তির মধ্যে পুরনো ধরনে যেখানে ১০ জনের মৃত্যু হতে পারে বলে অনুমান করা হয়, নতুন ধরনে সেটি বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়াতে পারে।
তবে ভাল্যান্স জোর দিয়ে বলেছেন, এ সংক্রান্ত যে প্রমাণ রয়েছে তা এখনো শক্তিশালী নয় এবং এ বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন আছে। মূল করোনাভাইরাস জাতের তুলনায় নতুন ধরনটি আরো বেশি সংক্রমণযোগ্য। এটি ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণযোগ্য বলে মনে হচ্ছে।
নতুন ধরনের করোনায় সংক্রমণ হার ও তীব্রতা দেখার জন্য গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কভিড-১৯ বিষয়ক কারিগরি দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরকভ।
এর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পাওয়া নতুন করোনার ধরনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস।
তিনি বলেন, ভাইরাসের নতুন কোনো ধরনের দেশে প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত আরো সুরক্ষিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। ঢোকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছি না আমি, তবে আমদের হয়তো আরো ব্যবস্থা নেওয়া লাগতে পারে। -বিবিসি ও ইউএনবি