সৌদি-আমিরাতে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২১, ১১:৩০

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, এটা রুটিন প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। নতুন প্রশাসন এসে আগের প্রশাসনের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখে। তাই সৌদি ও আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত এবার খতিয়ে দেখা হবে। তারপর ঠিক হবে, সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে, না কি তা বাতিল হবে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০টি লকহিড-মার্টিন এফ৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার দিয়ে কিনছিল আমিরাত। গত ৬ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সৌদি আরবকে তিন হাজার প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করে। ২৯০ কোটি ডলার দিয়ে এই ক্ষেপনাস্ত্র কিনছিল সৌদি আরব।
বাইডেন তখনই সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে ছিলেন। তার বক্তব্য ছিল, এই অস্ত্র ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের দমন করার কাজে ব্যবহার করা হবে।
ট্রাম্প অবশ্য সেই আবেদনে কান দেননি। তিনি সৌদি যুবরাজের সাথে বৈঠকও করেছিলেন অস্ত্র বিক্রি নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, এই অস্ত্র বিক্রিকে সামনে রেখেই আমিরাতের সাথে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন ট্রাম্প।
কিন্তু ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদন করেনি। সেখানে বলা হয়, মার্কিন কংগ্রেস আগে পর্যালোচনা করবে, তারপর এই ধরনের অস্ত্র বিক্রিতে সায় দেবে।
ডেমোক্র্যাট সেনেটর ক্রিস মার্ফি বলেছিলেন, ট্রাম্প জানেন, কংগ্রেস এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করবে না। তাই তিনি আইনের ফাঁক খুঁজে নিয়ে অনুমোদন ছাড়াই অস্ত্র বিক্রি করতে চেয়েছেন। কিন্তু এখন সৌদির সামনে কোনো জরুরি অবস্থা নেই। তারা আসলে ওই অস্ত্র ইয়েমেনে ব্যবহার করতে চায়।
ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসি সিআইপি এক প্রতিবেদনে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের অস্ত্র বিক্রির পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। দেখা গেছে, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এই পাঁচ বছরে ব্যাপক পরিমাণ অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বিক্রি করা হয়েছে। -ডয়চে ভেলে