Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

ইরানের পরমাণু চুক্তি

শুধু আলোচনার জন্য নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে না: বাইডেন

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:৫১

শুধু আলোচনার জন্য নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে না: বাইডেন

জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির শর্তগুলো না মানা পর্যন্ত তিনি ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলবেন না।

গতকাল রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সিবিএস নিউজকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি।

অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আগে তাদের ওপর থেকে সব অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়, তবেই তেহরান চুক্তিতে ফিরবে।

২০১৫ সালের চুক্তিতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তার পরিবর্তে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়। যার কারণে ইরান তাদের বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতির ব্যত্যয় করে।

ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়ে চলছে এবং বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। এই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রিয়্যাক্টর জ্বালানি তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে তবে এই একই জিনিস পারমাণবিক বোমা তৈরিতেও ব্যবহার হয়।

সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে সাংবাদিক, বাইডেনকে প্রশ্ন করেছিলেন- তিনি তেহরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরাতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেবেন কি না। বাইডেন এক কথায় জবাব দিয়েছেন, ‘না’।

এদিকে আলী খামেনি বলেছেন, এই চুক্তির আওতায় ইরানকে সব শর্তে ফিরিয়ে আনতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমে সব নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নিতে হবে। আমরা তাদের সবকিছু মূল্যায়ন করবো এবং আমরা যদি দেখি যে তারা এই বিষয়ে বিশ্বস্ততার সাথে কাজ করছে, তাহলে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিতে ফিরে যাব। এটাই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, যা বদলাবে না ও সব ইরানি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।

 ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি রবিবার এ সংক্রান্ত খবর প্রচার করেছে।

২০১৫ সালের যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যের সাথে ইরানের একটি পরমাণু চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী- তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমিয়ে আনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের পারমানবিক প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করতে দেবে বলে একমত হয়েছিল। এর বিনিময়ে তেহরানের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা হয়।

তবে ট্রাম্প ইরানকে নতুন একটি চুক্তিতে আসার জন্য আলোচনা করতে চাপ দেয় এবং এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।

ট্রাম্প তেহরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য নজরদারি রাখতে চেয়েছিলেন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর উৎপাদনও থামিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু ইরান তা প্রত্যাখ্যান করে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের শুদ্ধতার মাত্রা ৩.৬৭%-এর চেয়ে বাড়িয়ে চুক্তি লঙ্ঘন করে এবং এই বছরের জানুয়ারিতে ঘোষণা করেছে- তারা ২০% পর্যন্ত বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রেখেছে। অস্ত্র তৈরি করতে ৯০% বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন সিবিএসের সাথে ওই সাক্ষাৎকারে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, বেজিংয়ের সাথে ওয়াশিংটনের সরাসরি দ্বন্দ্বের দিকে যাওয়ার কোনো কারণ নেই, তবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দুটি দেশই চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে। এছাড়া গত মাসে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে তার কোনো কথা হয়নি এবং তিনি বেজিংয়ের প্রতি নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেননি।

বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে বলেছেন, তিনি খুব বুদ্ধিমান, তিনি খুব কঠোর। তার অস্থিমজ্জার কোথাও গণতন্ত্রের প্রথমে অক্ষরটিও নেই। -বিবিসি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫