Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

সৌদি আরবের আগ্রাসনে মারণাস্ত্রের কারবার

Icon

স্বর্ণা চৌধুরী

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:২৩

সৌদি আরবের আগ্রাসনে মারণাস্ত্রের কারবার

সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটির আগ্রাসনে বিধ্বস্ত ইয়েমেন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার জামাতা জারেড কুশনারের মাধ্যমে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তিনি ইয়েমেনের আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অস্ত্র ব্যবহারে ব্যাপক স্বাধীনতাও দিয়েছিলেন। 

তবে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এরপর ইয়েমেনের বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায় ইতালি।

তবে এতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ অর্থনীতি থেমে যাবে, বা কমে আসবে- এমনটি নয়।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০টি লকহিড-মার্টিন এফ-৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমান দুই হাজার ৩০০ কোটি ডলার দিয়ে কিনছিল আমিরাত। গত ৬ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন সৌদি আরবকে তিন হাজার প্রিসিশন গাইডেড মিসাইল বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করে। ২৯০ কোটি ডলার দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র কিনছিল সৌদি আরব। বাইডেন তখনই সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। তার বক্তব্য ছিল, এই অস্ত্র ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের দমন করার কাজে ব্যবহার করা হবে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্ত্র বিক্রিকে সামনে রেখেই আমিরাতের সাথে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন ট্রাম্প। বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় এসেই সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমরাস্ত্র বিক্রয়ের চুক্তি স্থগিত করে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সেখানে মার্কিন প্রভাব বজায় রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে মনে করা হচ্ছে। 

ইয়েমেনে দীর্ঘদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকারি দমন-পীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের মুখে ২০১৪ সালের শেষের দিকে হুথি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখলে নেয়। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পক্ষ নিয়ে ২০১৫ সালের মার্চ থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সেখানে ব্যাপক আগ্রাসন শুরু করে। এখন পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি বিমান হামলা চালায় ওই জোট। এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি হামলা চালানো হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, কারখানা, বাজারের মতো বেসামরিক স্থাপনা ও জনবসতিকে লক্ষ্য করে। যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পর, যেসব পশ্চিমা দেশ রিয়াদ ও তার সহযোগীদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে তাদের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। তবে তারা সবাই যে মার্কিন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছে, তেমনটি কিন্তু নয়।

যুক্তরাজ্য

যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাজ্য সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর তারাই সৌদি আরবে সমরাস্ত্রের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা। 

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জেমস ক্লেভারলি জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষ অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি তাদের সিদ্ধান্ত। অস্ত্র রফতানির বিষয়ে যুক্তরাজ্যের নিজস্ব দায়বোধ রয়েছে, কঠোর লাইসেন্স ব্যবস্থার আলোকে যুক্তরাজ্য অস্ত্র রফতানি নিশ্চিত করে থাকে। 

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সৌদি আরবের বাজার বন্ধ হয়ে পড়লে যুক্তরাজ্যের ‘টাইফুন’ যুদ্ধবিমান প্রকল্পটি অর্থনৈতিকভাবে হুমকির মধ্যে পড়বে। গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বিক্রিসহ ১.৮৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছে। এর আগে ২০১৯ সালের জুনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। সে সময় যুক্তরাজ্যের অস্ত্রে ইয়েমেনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সরকারের ব্যর্থতার কথা উল্লেখপূর্বক সমালোচনা করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে উল্লেখ করা হয়। 

গত জুলাই থেকে আবারো অস্ত্র বিক্রি শুরু করা হয়।

ফ্রান্স

আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ে গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) জানায়, যুক্তরাষ্ট্র (৭৩ শতাংশ) ও যুক্তরাজ্যের (১৩ শতাংশ) পর রিয়াদে সবচেয়ে বড় অস্ত্র রফতানিকারক দেশ ফ্রান্স। এখানে তাদের অংশীদারিত্ব চার শতাংশের। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ত্র রফতানির দিক দিয়ে ফ্রান্স রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে, যুক্তরাষ্ট্রের পর।

ব্রাসেলসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইইউ অবজারভার গত নভেম্বরে এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানায়, ইয়েমেনে চলমান সৌদি আগ্রাসনের মাঝেই বিভিন্ন ফরাসি কোম্পানি সৌদি সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। 

অ্যামনেস্টি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংস্থা বারবার ফরাসি সরকারের কাছে সমরাস্ত্র চুক্তির দায়িত্ব পার্লামেন্টের অধীনে প্রদানের আহ্বান জানালেও, এ নিয়ে ক্ষমতাসীন ইমানুয়েল ম্যাখোঁ সরকারের কোনো হেলদোল নেই। এমনকি ইয়েমেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হয় এমন ইউরোপীয় সমরাস্ত্র ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধে যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভোট দিয়েছিল, তখন ইইউ পার্লামেন্টে ২৩ ফরাসি সদস্যের ২২ জনই ছিলেন অনুপস্থিত।

ইতালি

ইতালিও সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো তাদের এ সিদ্ধান্ত সাময়িক নয়। আর এজন্য যুদ্ধবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টরা এ সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন। ২০১৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি ৪৮৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ১২ হাজার ৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির চুক্তি করেছিলেন। অস্ত্র বিক্রি বন্ধের ঘোষণায় ওই চুক্তি বাতিল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইতালির পিস অ্যান্ড ডিসার্মমেন্ট নেটওয়ার্ক। 

চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ফ্লোরেন্স নগরীর সিনেটর রেনজি সৌদি আরব সফর করেছিলেন। সে সময় তিনি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথেও একান্ত বৈঠক করেন। তবে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ ঘোষণার পর থেকে ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছেন রেনজি।

কানাডা

যুক্তরাষ্ট্র রিয়াদে অস্ত্র বিক্রি স্থগিত করার পর থেকে ব্যাপক চাপে রয়েছে কানাডা। গত ২৫ জানুয়ারি অন্টারিও প্রদেশের বিভিন্ন শহরে যেসব কোম্পানি সৌদি আরবে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির সাথে জড়িত, তাদের দফতরের সামনে বিক্ষোভ করেছেন যুদ্ধবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টরা। 

গত জুনে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ২০১৯ সালে কানাডা প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে সৌদি আরবের কাছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল হালকা সামরিক যান। ২০১৪ সালে কানাডা যে ১১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক চুক্তি করেছিল সৌদি আরবের সঙ্গে, এগুলো তারই অংশ। উদারপন্থী বলে পরিচিত হলেও দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোই ২০১৫ সালে ওই চুক্তি অনুমোদন করেছিলেন। 

২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর ট্রুডো রিয়াদে অস্ত্র রফতানি স্থগিত করেছিলেন। তবে গত বছর এপ্রিলে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। 

স্পেন

ফরাসিদের মতোই স্পেনের ৯ জন ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে সাতজনই সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন। উল্লেখ্য, স্পেন বরাবরই ইয়েমেন আগ্রাসনে সৌদি জোটের অন্যতম সামরিক জোগানদাতা।

২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ওই জোটের কাছে প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে তারা। এর বেশিরভাগই তারা বিক্রি করেছে সৌদি আরবের কাছে, ১.২ বিলিয়ন ডলার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ২৭৬ মিলিয়ন। 

জার্মানি

সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অন্যতম প্রধান সামরিক যোগানদাতা ছিল জার্মানি। তবে ইয়েমেনে সৌদি গণহত্যার অভিযোগ ও খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর, ২০১৮ সালে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের জোট সরকার সৌদি আরবে অস্ত্র না পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ নিষেধাজ্ঞা বেশ কয়েক দফা বৃদ্ধি করা হয়। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। 

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানায়, নিষেধাজ্ঞার আগে ২০১৭ সালের শেষ তিন মাসে জার্মানি ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে রিয়াদে।

অস্ত্র রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের বলেন, ‘ইয়েমেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ রাখাটা একদমই অযৌক্তিক। আমরা অনেক দেশ থেকেই অস্ত্র কিনতে পারি ও কিনিও। সৌদি আরবকে অস্ত্র বিক্রি করবো না- এমন কথায় আমাদের কিছু যায়-আসে না। ’ 

অস্ট্রেলিয়া

ইয়েমেনে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরও সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে যে, তারা সৌদি আরব বা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেবে না। ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে দেশটি সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে পাঁচটি ও আমিরাতকে নয়টি স্থায়ী পারমিট প্রদান করেছে। 

নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন দেশটি থেকে সৌদি আরবে পাঠানো ইঞ্জিনের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি এক অনুসন্ধানে জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি এয়ার নিউ জিল্যান্ডে তৈরি হওয়া ইঞ্জিন সৌদি নৌবাহিনীর জাহাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। 

জাসিন্ডা জানান, মিথ্যা তথ্য দিয়ে চুক্তি করা হয়েছিল, যা নিউজিল্যান্ডের তদন্ত এড়িয়ে যেতে পারেনি।

বেলজিয়াম

গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে- ইয়েমেনে আগ্রাসন চালাতে বেলজিয়ান সেনাবাহিনীর তৈরি সমরাস্ত্র ব্যবহার করছে সৌদি আরব। বেলজিয়ামের একটি এনজিও ভ্রেডিসআকসি ভিডিও ফুটেজ ও স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে দেখায় যে, দেশটির ওয়ালোনিয়া অঞ্চলের দুই সমরাস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি এফএন হেরস্টাল ও মেকারে নির্মিত অস্ত্র ২০১৯ সালে উত্তর ইয়েমেনের জাবারা উপত্যকায় ব্যবহার করেছে সৌদি বাহিনী।

স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ওয়ালোনিয়ার সরকার পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও স্বাধীনতা ভোগ করে। ইয়েমেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠার পর তারা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবে অস্ত্র বিক্রি রদ করে। বেলজিয়ামের সর্বোচ্চ আদালত থেকেও দেশজুড়ে সৌদি আরবে অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। 

বেলজিয়াম, ইতালি, জার্মানি ছাড়াও ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, গ্রিস, নেদারল্যান্ডসের মতো ইইউভুক্ত দেশগুলো সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিরুদ্ধে সমরাস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা বা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫