Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

সহিংসতার পর ইয়াঙ্গুনের দুই এলাকায় ‘মার্শাল ল’

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২১, ১৫:৩৭

সহিংসতার পর ইয়াঙ্গুনের দুই এলাকায় ‘মার্শাল ল’

ছবি: ডয়চে ভেলে

সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভের পর মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের দুটি শিল্পাঞ্চলে সামরিক আইন জারি করা হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম ঘোষণা করেছে।

বিক্ষোভ থামানোর জন্যই ইয়াঙ্গুনের হ্লাইংথায়া ও শোয়েপিথা শিল্পাঞ্চলে সামরিক আইন জারি করা হয়।

দেশটিতে গতকাল রবিবার (১৪ মার্চ) জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে ৩৯ জন নিহত হন। এ নিয়ে দেশটিতে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে মোট ১২৬ জন নিহত হলেন। 

গতকালের বিক্ষোভে হ্লাইংথায়া এলাকায় ২২ জন নিহত ও দেশটির অন্যান্য স্থানে আরো ১৬ প্রতিবাদকারী ও একজন পুলিশ নিহত হয়েছে। হ্লাইংথায়ার এলাকায় অনেক কারখানা রয়েছে যেগুলো চীনা বিনিয়োগে তৈরি। শিল্প এলাকা হ্লাইংথায়ায় চারটি গার্মেন্টস কারখানা ও একটি সার কারখানায় আগুন দেয়া হয়। 

তারপরও দেশটির আন্দোলনকারীরা সোমবার জান্তাবিরোধী আরও সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছে। এরপরই ইয়াঙ্গুনের হ্লাইংথায়া ও শোয়েপিথা শিল্পাঞ্চলে সামরিক আইন জারি করা হয়।

মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তার সমর্থক হিসেবে চীনকে দেখা হয়। গতকাল মিয়ানমারে কারখানায় হামলার পর পরিস্থিতিকে ‘খুবই গুরুতর’ হিসেবে বর্ণনা করে চীন।

চীনের কয়েকটি কারখানায় হামলার খবর পেয়ে মিয়ানমারকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বলেছে বেইজিং। মিয়ানমারের চীন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পোস্টে লিখেছে, কারখানাগুলোতে লুটপাট হয়েছে, ক্ষতিসাধন করা হয়েছে, বহু চীনা কর্মী আহত হয়েছে ও তারা আটকে পড়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান করার পর থেকেই মিয়ানমার দেশটির সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশটির বেসামরিক নেত্রী ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের প্রধান অং সান সুচিকে আটক করে রেখেছে সামরিক জান্তা। গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় পেয়েছে এনএলডি। তবে সামরিক বাহিনীর দাবি, ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫