কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আফগানিস্তান সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের প্রথম কর্মকর্তা হিসেবে তিনি আফগানিস্তান সফর করলেন। তিনি বৈঠক আফগান প্রেসিডেন্টের আশরাফ ঘানিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন।

গতকাল রবিবার (২১ মার্চ) আফগানিস্তানের স্থানীয় সময় সকালে অস্টিন দেশটির রাজধানী কাবুলে পৌঁছান।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তালেবানের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, এপ্রিলের মধ্যেই সব সেনাকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে বাইডেন সম্প্রতি জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। এই পরিস্থিতিতে আগে থেকে কোনো ঘোষণা না দিয়েই আফগানিস্তান সফরে আসেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

আফগানিস্তান জানিয়েছে, দেশটিতে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় দুইপক্ষই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় দুইপক্ষই ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উপর জোর দিয়েছে।

অস্টিন বলেন, আফগানিস্তানে সহিংসতার মাত্রা খুবই বেশি। আমরা চাই, সহিংসতা কমে যাক। যদি না কমে, তা হলে কূটনৈতিক স্তরে তা কমাবার চেষ্টা করতে হবে। 

এই সপ্তাহেই অস্টিন এশিয়া সফর শুরু করবেন। তিনি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতে যাবেন।

এদিকে তালেবান ইতিমধ্যে হুমকি দিয়েছে যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেনা না সরলে যুক্তরাষ্ট্রকে তার ফলভোগ করতে হবে। তালেবান নেতা সুহেইল সারিন বলেছেন, আমরা চুক্তিভঙ্গ করছি না। ওরা করলে তার প্রতিক্রিয়া হতে বাধ্য।

সেনা প্রত্যাহার নিয়ে অস্টিন কোনো কথা বলেননি। সংবাদ সম্মলনে বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও তিনি বলেন, এটা আমার বস ঠিক করবেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়ে দেবেন, তিনি কীভাবে বিষয়টি নিয়ে এগোতে চান।

আফগানিস্তানে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। আফগান সরকারের সাথে স্থায়ী ও বিশ্বাসযোগ্য চুক্তি হওয়ার আগেই সেনা প্রত্যাহার করলে পুনরায় তালেবান ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে ধারণা মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের। -ডয়চে ভেলে