অভ্যুত্থানচেষ্টার অভিযোগে জর্ডানের প্রিন্স হামজা ‘গৃহবন্দি’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২১, ১১:২৮
জর্ডানের সাবেক ক্রাউন প্রিন্স হামজা বিন হুসেইন
জর্ডানের সাবেক ক্রাউন প্রিন্স হামজা বিন হুসেইনকে গৃহবন্দি করার অভিযোগ উঠেছে। সমালোচকদের দমনের অংশ হিসেবে তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তার আইনজীবীর মাধ্যমে বিবিসির কাছে পাঠানো এক ভিডিওতে জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহর সৎ ভাই প্রিন্স হামজা দেশটির নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন।
কথিত একটি অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করার পর ওই ভিডিওটি পাঠান হামজা। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধাজ্ঞা ও কারও সাথে যোগাযোগ না করার নির্দেশ দিয়েছে।
কিন্তু জর্দানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল ইউসেফ হুনেইতি সে খবর নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, প্রিন্স হামজাকে দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করে এমন কিছু তৎপরতা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী একটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছে ও এ ব্যাপারে তদন্ত এখনো চলছে। তদন্তের ফলাফল স্বচ্ছভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।
সেনাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, প্রিন্স হামজাসহ উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা সেনা ‘অভ্যুত্থানচেষ্টায়’ জড়িত। এজন্য তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
প্রিন্স হামজাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে, এমন তথ্য এর আগে অস্বীকার করেছিল জর্ডানের সামরিক বাহিনী।
প্রিন্স হামজা স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠী নেতাদের সঙ্গে দেখা করার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই নেতাদের মধ্যে হামজা কিছুটা সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রিন্স হামজা কোনো অন্যায় করার কথা অস্বীকার করে তিনি কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ নন বলে দাবি করেছেন।
জর্ডানের নিরাপত্তা বাহিনী এর আগে ‘নিরাপত্তাগত কারণে’ রাজা আব্দুল্লাহর একজন সাবেক উপদেষ্টাকে আটক করে। রাজতন্ত্রশাসিত জর্ডানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে এবং সেখানে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বা রাজ পরিবারের সদস্যদের আটকের ঘটনা বিরল। -বিবিসি ও পার্সটুডে