ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে এবং চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। 

আজ রাজ্যের হাওড়া, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার মোট ৩১টি কেন্দ্রে ভোট চলছে। গত দুই দফার থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার খাতিরে নজিরবিহীনভাবে ১৬ কেন্দ্রেই জারি ১৪৪ ধারা। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়ার সাতটি, দক্ষিণ ২৪ পরগণার ১৬টি ও হুগলির আটটি আসন।

দক্ষিণ ২৪ পরিগনার যে ১৬টি আসনে আজ ভোটগ্রহণ চলছে সেগুলো হলো- বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি, রায়দিঘি, মন্দিরবাজার, জয়নগর, বারুইপুর পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম, ক্যানিং পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিম, মগরাহাট পূর্ব, মগরাহাট পশ্চিম, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর। 

হুগলির যে আটটি আসনে ভোটগ্রহণ, তাহলো- খানাকুল, জাঙ্গিপাড়া, গোঘাট, হরিপাল, আরামবাগ, ধনেখালি, পুরশুড়া, তারকেশ্বর। 

এছাড়া হাওড়ার সাতটি আসন হলো- উদয়নারায়ণপুর, জগৎবল্লভপুর, উলুবেড়িয়া উত্তর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, বাগনান, শ্যামপুর, আমতা। 

এসব আসনে বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের দাপট। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই ৩১ আসনের ২৯টিতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল পেয়েছিল ২৯টি আসন। এ অবস্থায় এ দফার ভোট বিজেপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। এসব আসনে জিততে গেলে বিজেপির দক্ষিণপন্থী ও বামপন্থী দুই পক্ষেরই সাহায্য লাগবে।

এদিকে আজ সকাল থেকে তেমন বড় কোনো খবর না এলেও উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রে এক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পাশাপাশি সোমবার রাতে গোঘাটে এক বিজেপি কর্মীর মায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলা চালিয়েছে।

রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে নানা অভিযোগ উঠেছে। ভোটের আগের রাতে বাগনানে আক্রান্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি যৌগীবর নাগ। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম বাগনানের হ্যালান অঞ্চলের তৃণমূলের বুথ সভাপতি যোগীবর বাগ।

 ভোট অভিযোগহীন করার লক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মোট ৬১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর পুলিশ জেলায় ১৩০ কোম্পানি, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় ১১৩ কোম্পানি, সুন্দরবনে ৬৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। হুগলি জেলায় ১৬৭ কোম্পানি, হাওড়া গ্রামীণে ১৩৩ কোম্পানি, হাওড়া কমিশনারেটে ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। 

প্রতিটি বুথেই আধা সেনা রাখা হয়েছে। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে, ‘ওয়েব কাস্টিং’-এর উপরেও জোর দেয়া হচ্ছে। - এই সময় ও আনন্দবাজার পত্রিকা