পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ চলছে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৩৭

ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ শনিবার (১০ এপ্রিল)।
রাজ্যের পাঁচ জেলার ৪৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার নয় ও আলিপুরদুয়ারের পাঁচটি বিধানসভা আসনের সব ক’টিতেই ভোটগ্রহণ চলছে।
এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি, হাওড়া জেলার ১৬টির মধ্যে নয়টি ও হুগলির ১৮টির মধ্যে ১০টি আসনেও ভোট হচ্ছে।
চতুর্থ দফার ভোটে রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা আসন। রয়েছেন একঝাঁক তারকা প্রার্থীও। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন চক্রবর্তী ও বৈশালী ডালমিয়ারও শনিবার পরীক্ষা। ডোমজুড়ে প্রার্থী রাজীব। বালিতে বৈশালী ও হাওড়ার সাবেক মেয়র রথীন প্রার্থী শিবপুরে।
এছাড়াও রয়েছেন- সিঙ্গুরে বিজেপির প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, চুঁচুড়ায় বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, চন্দননগরে তৃণমূলের প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন, উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক ও বিজেপির প্রবীর ঘোষাল। বেহালা পূর্বে তৃণমূলের প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপির প্রার্থী পায়েল সরকার। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও ভোট। ওই দুই জেলাতে রয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী। কোচবিহারের নাটাবাড়ি থেকে লড়ছেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দিনহাটার বিজেপির প্রার্থী এমপি নিশীথ প্রামাণিক ও কুমারগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী লিওস কুজুর।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ৩৯টি। বিজেপির হাতে মাত্র একটি ও বামেদের দখলে তিনটি আসন। আর তাদের জোট শরিক কংগ্রেসের ঝুলিতে একটি আসন ছিল। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফলের হিসাব অনেক বদলে গিয়েছে। এই ৪৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২৫টি ও বিজেপি ১৯টি কেন্দ্রে এগিয়ে। তবে সে সময় পৃথকভাবে লড়াই করা বাম-কংগ্রেসের হাতে কোনো আসনই নেই।
চতুর্থ দফার ভোটে আরো কড়া নিরাপত্তার আয়োজন নির্বাচন কমিশনের। গত বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের সাথে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা (সিইও) আরিজ আফতাব।
সূত্রের খবর, ইভিএম নিয়ে গাফিলতি হলেই শাস্তির মুখে পড়তে পারেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, সেই বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা। চতুর্থ দফায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে। শনিবারের ভোটে বুথে মোট ৭৯৩ কোম্পানি বাহিনী। কলকাতা পুলিশের এক্তিয়ারে থাকা এলাকায় বাহিনী ৯৪ কোম্পানি, আলিপুরদুয়ারে ৯৬, কোচবিহারে ১৮৩, হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে ৯৯, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় ৩৮, হাওড়া গ্রামীণে ৩৫ ও বারুইপুর পুলিশ জেলায় ৪৪ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটে থাকবে ৭৯ কোম্পানি। বাকি আধা সেনা নিযুক্ত ভোটের অন্যান্য কাজে। -আনন্দবাজার পত্রিকা