
ছবি: ডয়চে ভেলে
মিশরে ‘মি-টু’ আন্দোলন থেকে অভিযোগ আসার পর আহমেদ বাসাম জাকি নামে এক ব্যক্তির আট বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মেয়েদের হেনস্থা ও মাদক রাখার অভিযোগ আনা হয়।
তার সাত বছর জেল হয়েছে নারীদের হেনস্থা করার জন্য ও এক বছর কারাদণ্ড হয়েছে মাদক রাখার অভিযোগে।
সংবাদসংস্থা এপি আদালতের নথি দেখে জানাচ্ছে, জাকি যাদের হেনস্থা করেছিল, তাদের কয়েকজন সেসময় নাবালিকা ছিল।
গত বছর সামাজিক মাধ্যমে জাকির বিরুদ্ধে একাধিক নারী অভিযোগ করেন। তাদের মধ্যে অনেকে স্কুলে তার সহপাঠী ছিলেন। কেউ কায়রোয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একসাথে পড়েছিলেন।
গত ডিসেম্বরে দুইজন নারীকে হেনস্থা করার দায়ে আদালত তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। গতবছর ৪ জুলাই তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরার মুখে তিনি স্বীকার করে একজন নাবালিকাসহ ছয়জন নারীর হেনস্থা করেছেন।
অভিযোগ হলো, মেয়েদের আকর্ষণ করার জন্য জাকি ৯টা অনলাইন গ্রুপ তৈরি করেছিল। তিনি প্রথমে মেয়েদের সাথে ঘনিষ্ঠ হতেন। তারপর ঘনিষ্ঠ অবস্থার ছবি তুলতেন এবং পরে সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করতেন। এভাবেই তিনি মেয়েদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন।
নাদিম আশরাফ ইনস্টাগ্রামে ‘অ্যাসল্ট পুলিশ’ বলে একটা গ্রুপ তৈরি করেছেন। সেখানে মেয়েরা তাদের উপর নিগ্রহের কথা জানাতে পারে। নাদিম জানিয়েছেন, তারা আদালতের রায়ে খুব খুশি। তারা এই মামলা নিয়েও অনেক লড়াই করেছেন। তার ইনস্টাগ্রাম গ্রুপেই ২০১৪ সালে কায়রোর হোটেলে ১৮ বছরের এক নারীকে মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করে লাগাতার ধর্ষণ করা ও তার ভিডিও তুলে রাখার ঘটনা ফাঁস করা হয়।
২০১৩ সালের জাতিসংঘের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মিশরে ৯৯ দশমিক তিন শতাংশ নারী জানিয়েছিলেন, তারা নিগ্রহের শিকার। -ডয়চে ভেলে