
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
ইরানকে কার্যত হুমকি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রেউভিন রিভলিনের সাথে বৈঠকের সময় ইরানকে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে কড়া বার্তা দেন বাইডেন।
তিনি বলেন, তিনি যতদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদে থাকবেন, ততদিন ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। পাশাপাশি গত রবিবার (২৭) সিরিয়ায় বিমান হামলার সমর্থনেও যুক্তি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তার নির্দেশেই ওই বিমান হামলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (২৮ জুন) হোয়াইট হাউসে বৈঠকে করেন রিভলিন ও বাইডেন। ইরান প্রসঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় তাদের। ইরান নিয়ে বরাবরই কড়া মনোভাব ইসরায়েলের। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনায় উঠে আসে পরমাণু চুক্তির বিষয়টি। ২০১৮ সালে যে চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিল ট্রাম্প প্রশাসন এবং তারপর থেকেই ইরান এই চুক্তির বিভিন্ন শর্ত লংঘন শুরু করে।
বাইডেন এদিন বলেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ফিরতে চায়। তার জন্য আলোচনাও চলছে। কিন্তু ইরান যা করছে, যুক্তরাষ্ট্র তা বরদাস্ত করে না। তিনি যাতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ইরান ততদিন অন্তত পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র কড়া নজর রেখেছে। প্রয়োজনে কঠিনতম পদক্ষেপ নেবে তার দেশ।
বৈঠক শেষে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইরান নিয়ে বাইডেন মনোভাব তিনি সমর্থন করেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটাই শেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর রিভলিনের। আগামী মাসেই ইসরায়েলে নতুন প্রেসিডেন্ট আসতে চলেছেন। ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সাথেও বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাইডেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এককভাবে বিমান হামলার নির্দেশ দিতে পারেন কি না, তা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টকে বাইডেন জানিয়েছেন, এই ক্ষমতা তার আছে। সিরিয়ায় নির্দিষ্ট জঙ্গি ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালিয়েছে। তিনটি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। যাদের মৃত্যু হয়েছে, তারা জঙ্গি বলেও দাবি করেছেন বাইডেন।
ইসরায়েলও মার্কিন বিমান হামলা সমর্থন করেছে। বস্তুত সিরিয়ায় ইরানের মদতপুষ্ট একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে বাইডেনকে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট। বাইডেন জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো হামলা হবে। - ডয়চে ভেলে