
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান।
বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা মিশিয়ে বা ডোজ অদল বদল করে প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সোমবার (১২ জুলাই) এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এমন সতর্কবার্তা দেন বিশ্ব সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
সৌম্য বলেন, যেহেতু এর ভালো-মন্দ দিক নিয়ে এখনো পর্যাপ্ত তথ্য নেই, সেহেতু ওই পরিকল্পনা একটি বিপজ্জনক ধারা তৈরি করবে। এখন নাগরিকরাই যদি ঠিক করতে শুরু করে যে কে কখন দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ ডোজে নেবে, তাহলে সেটা দেশে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে।
বিশ্বের ধনী দেশগুলো বিপুল পরিমাণ টিকা মজুদ করে ফেললেও উন্নয়নশীল বা অনুন্নত অনেক দেশ এখনও টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। ফলে করোনাভাইরাস মহামারী সামলাতে এসব দেশকে রীতিমতো নাকাল হতে হচ্ছে।
এরই মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড সোমবার তাদের টিকা নীতি পরিবর্তন করে দুই ডোজে দুই রকম টিকা দেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল জানিয়েছেন, প্রথমে সিনোভ্যাক টিকার একটি ডোজ দেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া হবে।
যে স্বাস্থ্যকর্মীরা ইতোমধ্যে সিনোভ্যাকের দুটি ডোজ নিয়েছেন, তাদের তৃতীয় আরেকটি বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েওঠে থাই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। তৃতীয় ডোজটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও হতে পারে, অথবা ফাইজার/বায়োএনটেকের মতো টিকাও হতে পারে।
চীনের সিনোভ্যাকের তৈরি টিকার দুই ডোজ নেয়ার পরও থাইল্যান্ডে ৬ শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নার্স মারা গেছেন এবং আরেকজনের অবস্থা গুরুতর।
এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর আশায় থাই সরকার দুই ডোজে দুই টিকা দেয়ার ঘোষণা দিলো।