Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

ডেল্টা ধরন প্রতিরোধে ফাইজারের চেয়ে মডার্নার টিকা বেশি কার্যকর

Icon

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২১, ১৪:৫৯

ডেল্টা ধরন প্রতিরোধে ফাইজারের চেয়ে মডার্নার টিকা বেশি কার্যকর

করোনার টিকা

করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় মডার্নার এমআরএনএ ভ্যাকসিনের তুলনায় ফাইজার-বায়োএনটেকের এমআরএনএ ভ্যাকসিন কম কার্যকর হতে পারে।

পিয়ার রিভিউের আগেই গত রবিবার (৮ আগস্ট)  মেড আর্কাইভে (মেডরক্সিভ) প্রকাশিত দুটি গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মায়ো ক্লিনিক হেলথ সিস্টেমে ৫০ হাজারের বেশি রোগীর উপর গবেষণায় দেখা গেছে, গত মাসে সংক্রমণের বিরুদ্ধে মডার্নার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৭৬ শতাংশ কমে এসেছে – যখন এ বছরের শুরুতেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছিল ৮৬ শতাংশ ।  

একই সময়ে গবেষকরা জানিয়েছেন, ফাইজার-বায়োটেক ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৭৬ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে, যদিও হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি হওয়া রোধে উভয় ভ্যাকসিনই কার্যকর ছিল। 

মায়ো স্টাডির গবেষক ড. ভেংকি সুন্দারারাজন বলেছেন, এ বছরের শুরুর দিকে যারা ফাইজার বা মডার্নার ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাদের জন্য শিগগিরই মডার্নার একটি  শট বুস্টারের  প্রয়োজন হতে পারে। 

একটি পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, কানাডার অন্টারিওর বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের ফাইজার–বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের চেয়ে মডার্নার ভ্যাকসিন অধিকতর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করেছে।   

টরেন্টোর লুনেনফেল্ড-টানেনবাউম রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ড. অ্যান-ক্লড গিংগ্রাস বলেছেন, প্রবীণদের উচ্চতর ভ্যাকসিন ডোজ, বুস্টার ও অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন হতে পারে। 

উভয় গবেষণার প্রতিবেদন নিয়ে ফাইজারের মুখপাত্র ডা. অ্যান-ক্লড গিংগ্রাস বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে পারি যে,সর্বোচ্চ মাত্রার সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য সম্পূর্ণ টিকা দেয়ার ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ বুস্টারের প্রয়োজন হতে পারে।’

যেসব মানুষ পাঁচ বা তারও বেশি মাস আগে ফাইজার-বায়োটেক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছিলেন তাদের পাঁচ মাস বা তার চেয়ে কম সময় আগে সম্পূর্ণভাবে টিকা দেয়া লোকদের তুলনায় কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

গবেষকরা ইসরায়েলে প্রায় ৩৪ হাজার টিকাপ্রাপ্ত বয়স্কদের উপর গবেষণা করে দেখেছেন, তাদের কেউ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না। পরীক্ষায় দেখা গেছে, সামগ্রিকভাবে ১.৮  শতাংশের করোনা পজিটিভ হয়েছে। সব বয়সের লোকদের পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের ক্ষেত্রেই ঝুঁকি বেশি যাদের শেষ ভ্যাকসিনের ডোজ কমপক্ষে ১৪৬ দিন আগে দেয়া হয়েছিল। অন্যদিকে ৬০ বছরের বেশি বয়সী রোগীদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের পর কমপক্ষে ১৪৬ দিন পার হওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রায় তিনগুণ বেশি।

ইসরায়েলের লিউমিট হেলথ সার্ভিসের লেখক ইউজিন মেরজন বলেছেন, নতুন সংক্রমণের বেশিরভাগই সাম্প্রতিককালে পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে খুব কম রোগীরই হাসপাতালে ভর্তি কিংবা ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন পড়েছিল। মৃত্যুহারের ক্ষেত্রে নতুন সংক্রমণের তীব্রতা মূল্যায়ন করা খুব জরুরি। তাই আমরা আমাদের এ গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। - রয়টার্স  

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫