
হাইতিতে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি বাড়ি। ছবি : এপি
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপ দেশ হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৯৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেক মানুষ।
দেশটিতে গ্রীষ্মকালীন ঝড়ের কারণে উদ্ধার তৎপরতা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে একদিনেই আরো পাঁচ শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় গত শনিবার (১৪ আগস্ট) সকালে হাইতির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। শক্তিশালী ভূমিকম্পে বাড়ি, গির্জা, হোটেলসহ অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কর্মকর্তারা জানয়েছে, গ্রীষ্মকালীন ঝড়ে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। কিছু এলাকায় ১৫ ইঞ্চি (৩৮ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত লি কায়ে ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে টানা বৃষ্টি হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ৯ হাজার ৯০০ ছাড়িয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার (৮০ মাইল) পশ্চিমে শনিবারের ভূমিকম্পটি বেশ কিছু কিছু শহরকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। করোনাভাইরাস মাহামারি, দলীয় সহিংসতা, ক্রমবর্ধমান দরিদ্রতা ও গত মাসে দেশটির প্রেসিডেন্টের হত্যার পর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নতুন করে আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ল।
দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান জেরি চ্যান্ডলার গতকাল বলেছেন, ‘প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিকম্পের উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে লোকজন বিক্ষোভ শুরু করে।’
এদিকে হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি ভূমিকম্পে হতাহতদের স্মরণে দেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছেন।
২০১০ সালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি। ওই ভূমিকম্পে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতিও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।