Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

ডেল্টা ধরনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি দ্বিগুণ

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২১, ১৩:৫১

ডেল্টা ধরনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি দ্বিগুণ

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। ছবি : নিউইয়র্ক টাইমস

করোনাভাইরাসের আলফা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ। 

ব্রিটেনে চালানো এক পরীক্ষার ভিত্তিতে গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ‘ল্যানসেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে। 

ডেল্টা ছাড়াও বিভিন্ন দেশে আলফা, বিটা, ক্যান্ট, ল্যাম্বডাসহ করোনার আরো কয়েকটি ধরন সক্রিয় রয়েছে। তবে করোনা সবগুলো ধরনকে ছাপিয়ে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ধরন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ডেল্টাই।

তবে করোনার টিকার দুইটি ডোজ নেয়া থাকলে বিপদ কিছুটা এড়ানো সম্ভব বলেই উল্লেখ করা হয়েছে এই রিপোর্টে।

এ বছর মার্চ থেকে মে মাসের পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৩৩৮ জনের উপর এই পরীক্ষা চালায় ‘পাবলিক হেল্‌থ ইংল্যান্ড’ (পিএইচই)। এ সময়ে আলফা ও ডেল্টা- পাল্লা দিয়ে দুই স্ট্রেনেরই দাপট চলছিল দেশটিতে। 

তবে গবেষণায় দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগেরই টিকা নেয়া ছিল না। পাশাপাশি- বয়স, লিঙ্গ, জাতি সবদিকে নজর রেখে করা ওই তুলনামূলক পরীক্ষায় আরো উঠে আসে, আলফার থেকেও ডেল্টায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মাত্রা অনেক বেশি।

গবেষকরা বলেছেন, দুই ডোজ টিকা দেয়াদের মধ্যে ২ শতাংশেরও কম মানুষের করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং এই গ্রুপের লোকজনদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।

জেনেটিক সিকোয়েন্সিং নিশ্চিত করেছে যে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশ আলফা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিল, আর ২০ শতাংশ ডেল্টায় সংক্রমিত হয়েছিল। গবেষকরা দেখেছেন, উভয় গ্রুপেরই হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি কম ছিল। করোনা শনাক্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে আলফা ধরনে আক্রান্ত মাত্র ২.২ শতাংশ ও ডেল্টা ধরনে আক্রান্তদের মধ্যে ২.৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।

কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের গড় বয়সে কম ছিল। কিন্ত গবেষকরা দেখেছেন, ডেল্টায় আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সামগ্রিক ঝুঁকি ছিল দ্বিগুণেরও বেশি।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরিস্থিতি রুখতে ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি টিকা ৯৬% কার্যকর। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কার্যকারিতা এ ক্ষেত্রে ৯২%। 

পাশাপাশি অন্য কয়েকটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে আরো বলা হয়েছে, সময়ের সাথে কার্যক্ষমতা কমলেও ডেল্টা স্ট্রেনে সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রুখতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে দুই টিকাই। 

তবে দুইটি টিকার ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর শরীরে কোভিডের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সুরক্ষা কবচ তৈরি হতে সপ্তাহ দু’য়েক লেগে যেতে পারে বলে দাবি গবেষকদের।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫