নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিক্ষোভ, ত্রিপুরায় বন্ধ ইন্টারনেট ও এসএমএস

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৮
ছবি: এনডিটিভি
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতি। আসাম যেমন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে, তেমনি বিক্ষোভ ছড়াচ্ছে বিজেপি শাসিত আরেক রাজ্য ত্রিপুরাতেও।
সেই বিক্ষোভের জেরেই আগামী ৪৮ ঘণ্টা মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ও এসএমএস সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে বিপ্লব দেব সরকার।
ত্রিপুরা সরকারের তরফে এক চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতির নিরিখে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে এসএমএস ও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হচ্ছে। প্রেস মেসেজের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
যদিও মুখে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দাবি করেছেন, রাজ্যে বনধের কোনো প্রভাবই পড়েনি। রাজ্যের মানুষের উদ্দেশে তার বার্তা, ত্রিপুরার আদিবাসীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন এবং এই বিলের ফলে তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। তবে পরিস্থিতি যে মোটেই সরকারের জন্য নিশ্চিন্ত হওয়ার নয়, তা সরকারের নির্দেশেই স্পষ্ট।
উত্তর-পূর্বের প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের ডাকা ১১ ঘণ্টার বনধকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরা, কেন্দ্রের আনা বিলটি নিয়ে তাদের অভিযোগ, এই বিল জাতিগত পরিচয় হরণ করবে। আগরতলায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা, তারপরেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়।
সরকারের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু গুজব ছড়িয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টার খবর পুলিশ পাওয়ার পরেই, পরিষেবা বন্ধ করা হয়।
এর আগে, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের ধালাই জেলার অন-উপজাতি মালাকানাধীন একটি বাজারে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
ত্রিপুরার যখন এমন পরিস্থিতি, তখন ক্রমেই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে আসামের পরিস্থিতি। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল। গুয়াহাটির বিজেপি এমপি কুইন ওঝার বাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়ে বাড়ির উঠোনেই তার কুশপুতুল পোড়ায় জনতা। নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এই বিলের প্রতিবাদে নাগাড়ে বনধ ডেকেছে। সেই বনধের দ্বিতীয় দিনে গোলঘাট, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়ের মতো জেলাগুলোতে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
শুধু আসাম নয়, ত্রিপুরা, মণিপুর ও অরুণাচলেও চলছে বিক্ষোভ। মিছিল বের করে দুটি ছাত্র সংগঠন। মিছিলে বহু মানুষ অংশ নেন। -এই সময় ও এনডিটিভি