হুয়াওয়ের মেংকে ছাড়ার পরই ২ কানাডীয়কে মুক্তি দিলো চীন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:২৩

চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু। ছবি : বিবিসি
কয়েক বছরের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে মুক্তি পেলেন কানাডায় আটক থাকা চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু।
যুক্তরাষ্ট্রের কৌসুঁলিদের সঙ্গে একটি সমঝোতার পর গতকাল শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তিনি নিজের দেশ চীনে ফিরে গেছেন।
মেং হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন জেনফেংয়ের মেয়ে। কোম্পানিটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিকম প্রযুক্তি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান।
একইসঙ্গে চীনে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক থাকা কানাডার দুই নাগরিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তারাও এখন কানাডার পথে রয়েছেন।
প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের পর মেংকে আটক করেছিল কানাডা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইরানে হুয়াওয়ে লেনদেন করেছিল, এমন অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে গ্রেফতারে কানাডার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল।
এই মামলার কারণে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়। এরপর অভিযোগ ওঠে যে, পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে কানাডার নাগরিকদের আটক করেছে চীন। যদিও দেশটি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

কানাডার আটকাবস্থা থেকে মুক্তির পর সাংবাদিকদের বলেন মেং ওয়ানঝু বলেন, আমার জীবন পুরোপুরি উল্টেপাল্টে গেছে। এটা আমার জন্য একটা বিপর্যয়কর সময় ছিল।
এএফপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, মুক্তির পরপরই তিনি চীনের শেনজেনগামী এয়ার চায়নার একটি বিমানে করে কানাডা ছেড়ে যান।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কূটনৈতিকদের ব্যাপক আলোচনার পর মেং ওয়ানঝু ছাড়া পেলেন। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, তারা মামলা স্থগিতের একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন।
এর অর্থ হলো- মেংয়ের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলার কার্যকলাপ স্থগিত রাখতে বিচার বিভাগ। এর মধ্যে আদালতের নির্ধারিত শর্তগুলো যদি তিনি মেনে চলেন,তাহলে পুরো মামলাই বাতিল করা হতে পারে।
গত তিন বছর ধরে তিনি ভ্যাংকুভারে তার পিতার মালিকানাধীন একটি বাড়িতে গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন।
মেংকে কানাডা গ্রেফতার করার পরপরই ২০১৮ সালে মাইকেল স্পাভোর ও মাইকেল কোভরিগকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে চীন গ্রেফতার করেছিল। সাবেক কূটনৈতিক কোভরিগ ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের একজন কর্মকর্তা। আর স্পাভোর একটি প্রতিষ্ঠান উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের কাজ করে থাকে।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এ বছরের মার্চে স্পাভোরকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল চীনের একটি আদালত। কোভরিগকেও তখন আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে তার সাজা এখনো ঘোষণা করা হয়নি। -বিবিসি