
প্রতীকী ছবি
জার্মানির পশ্চিমপ্রান্তের শহর ব্যার্গহেইম। দেশটির সাধারণ নির্বাচনের দিন গত রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সেখানেই একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বৈষম্যের অভিযোগ ওঠে। হিজাব পরে এক নারী ভোট দিতে গেলে তাকে বাধা দেয়া হয়।
পরে অবশ্য শহরের প্রশাসন জানিয়েছে, ওই নারীকে বাধা দেয়া উচিত হয়নি। পরে তাকে ভোট দিতে দেয়া হয়।
ওই নারীর অভিযোগ, হিজাব পরে মুখ ঢেকে তিনি ভোট দিতে গেছিলেন। ভোটগ্রহণ কর্মীরা তাকে জানান, হিজাব পরে ভোট দেয়ার নিয়ম নেই। তাকে হিজাব খুলে মুখ দেখিয়ে ভোট দিতে হবে। ভোটগ্রহণ কর্মীদের বক্তব্য ছিল, জার্মানির ভোট দেয়ার আইন অনুযায়ী- ভোটদাতাকে তার পরিচয় স্পষ্ট করতে হবে। কিন্তু হিজাব পরলে মুখ কাপড়ের আড়ালে থেকে যায়। পরিচয় স্পষ্ট হয় না। সে কারণেই ওই ২১ বছরের তরুণীকে প্রথমে বাধা দেয়া হয়েছিল।
ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই নারীর সঙ্গে ভোটকর্মীদের কথাবার্তা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে চলে আসে। টেলিভিশন চ্যানেলেও দেখানো হয়। অভিযোগ ওঠে ভোটকর্মীরা বৈষম্য করেছেন। তাদের কথাবার্তায় ইসলামোফোবিয়া ধরা পড়েছে।
ওই নারী এরপর প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ শুনে প্রশাসন জানায়, ওই তরুণী ভোট দিতে পারবেন। এরপর তিনি গিয়ে ভোট দিয়ে আসেন। প্রশাসন জানিয়েছে, হিজাব পরে ভোট দেয়ায় জার্মানিতে কোনো আপত্তি নেই। নিকাব পরে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে আপত্তি তোলা যায়। কারণ নিকাবে মুখ দেখা যায় না। কিন্তু হিজাবের ক্ষেত্রে সে সমস্যা নেই।
ওই নারীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে বলেও শহরের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। তবে ইসলামোফোবিয়া থেকে ওই নারীকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ উঠছে, তা অস্বীকার করেছে প্রশাসন। -ডয়চে ভেলে