
ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী শুকুরো মানাবে, জার্মানির পদার্থবিজ্ঞানী ক্লাউস হ্যাসেলম্যান ও ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী জর্জিও পারিসি।
বৈশ্বিক জলবায়ুর কাঠামোগত মডেল নির্মাণ, বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্বাভাস ও তা নির্ভুলভাবে পরিমাপের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিষ্কার এবং পরমাণু ও গ্রহীয় পরিসরের ভৌত কাঠামো এবং তার ওঠানামার মিথস্ক্রিয়া আবিষ্কারের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এই তিন বিজ্ঞানী।
তাদের মধ্যে বৈশ্বিক জলবায়ু বিষয়ে অবদানের জন্য নোবেল পেয়েছেন মানাবে ও ক্লাউসম্যান। অন্যদিকে, পরমাণু ও গ্রহীয় পরিসর ইস্যুতে নোবেল পেয়েছেন জর্জিও পারিসি।
বরাবরের মতো এবারও নোবেল পুরস্কারের ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার ভাগাভাগি করে নেবেন এ তিন বিজ্ঞানী। পুরস্কারের অর্ধেক, অর্থাৎ ৫০ লাখ ক্রোনার পাবেন মানাবে ও ক্লাউসম্যান ও বাকি অর্ধেক পাবেন পারিসি।
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো চলতি বছরও সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিস অ্যাকাডেমি ছোট আকারের অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে; গতবারের মতো সেই অনুষ্ঠানে আয়োজক কমিটির বাইরে অন্য কোনো অতিথি উপস্থিত ছিলেন না।
পদার্থ বিজ্ঞানে ১৯০১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ১১৪টি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছে নোবেল ফাউন্ডেশন। বিজয়ীদের প্রাপ্ত পদক ও সনদ পৌঁছে যাবে তারা যেসব দেশের নাগরিক, সেসব দেশের কূটনীতিকদের কাছে। বিজয়ীরা দেশে তাদের কাছ থেকে পদক ও সনদ সংগ্রহ করবেন।
প্রতি বছর শান্তি, সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা ও অর্থনীতি—এই ৬ বিষয়ে যারা বিশেষ অবদান রেখেছেন; তাদের পুরস্কার প্রদান করে সুইডেনভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশন। আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ২০২১ সালের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।