পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, গোপন সম্পদের বিবরণ ফাঁসের ঘটনার সাথে তার দেশের নাগরিকদের জড়িত থাকার বিষয়টি সরকার তদন্ত করে দেখবে।

তিনি বলেন, এ নিয়ে কোনও অপরাধ ঘটে থাকলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্যান্ডোরা পেপারস নামে ফাঁস হওয়া লাখ লাখ দলিলে দাবি করা হয়েছে, শত শত পাকিস্তানি গোপনে তাদের সম্পদ পাচার করেছেন। এদের মধ্যে ইমরানের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় গোপন দলিল ফাঁস হওয়ার ঘটনা। এতে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতাদের সম্পদ পাচারের ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। আইসিআইজি নামে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি জোটের কাছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ গোপন আর্থিক দলিলপত্র তুলে দেয়া হয়। বিবিসিসহ বিশ্বের ১১৭টি দেশের প্রায় ৬০০ সাংবাদিক এসব দলিলপত্র যাচাই করেছেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এসব দলিলে দেশটির সাত শতাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন মন্ত্রিসভার সদস্য। ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন ও তার পরিবারের সদস্যরা চারটি অফশোর কোম্পানির মালিক।

এসব কোম্পানির কাগজপত্র দেখাশোনা করেছন যে আর্থিক উপদেষ্টা সেই তারিক ফওয়াদ মালিক বলেছেন, সৌদি আরবের একটি ব্যাংকে বিনিয়োগের জন্য এসব কোম্পানি গঠিত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগ করা হয়নি।

প্যান্ডোরা পেপারস থেকে জানা গেছে, পানিসম্পদ মন্ত্রী চৌধুরী মুনিস এলাহিকে সতর্ক করা হয় যে অফশোর ট্যাক্স হেভেনে বিনিয়োগ করলে তিনি পাকিস্তানি কর কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে যেতে পারেন। এরপর তিনি ওই উদ্যোগ থেকে পিছু হটেন।

এলাহির পরিবারের পক্ষের একজন মুখপাত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আইননানুগভাবে তাদের সব সম্পদের ঘোষণা করা আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এসব দলিলের তথ্য-উপাত্তের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

গত সোমবার (৪ অক্টোবর) টুইটারে এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান প্যান্ডোরা পেপারসে পাকিস্তানিদের আর্থিক অনিয়ম তুলে ধরার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ২০১৬ সালে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে তিনি পাকিস্তানের বিত্তবানদের অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে সরকারি তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। সে সময় পানামা পেপারস নামে কিছু গোপন দলির ফাঁস হয়েছিল। -বিবিসি