Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

দুর্নীতির অভিযোগে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরের পদত্যাগ

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২১, ১১:৫৯

দুর্নীতির অভিযোগে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরের পদত্যাগ

অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর জেবাস্তিয়ান কুর্টস। ছবি : বিবিসি

দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর জেবাস্তিয়ান কুর্টস পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের পর তিনি তার স্থলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গের নাম প্রস্তাব করেছেন।

কুর্টসের দল ওভিপি পিপলস পার্টির সঙ্গে যোগসূত্র আছে এমন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানোর পর কুর্টস ও আরো নয়জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।

একটি ট্যাবলয়েড নিউজপেপারে তার পক্ষে ভালো খবর ছাপানোর বিষয়টা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি অর্থ ব্যবহার করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুর্টস।

এই অভিযোগের পর তার জোট সরকার ধসে পড়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। জোটের এক কনিষ্ঠ অংশীদার ‘দ্যা গ্রিনস’ বলেছে, কুর্টস চ্যান্সেলর হওয়ার আর যোগ্যতা রাখেন না। দ্যা গ্রিনস এখন বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। বিরোধী দল এখন হুমকি দিচ্ছে আগামী সপ্তাহে তারা অনাস্থা ভোট আনবে।

কুর্টসের পদত্যাগের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন গ্রিন পার্টির নেতা ও ভাইস চ্যান্সেলর ওয়ারনার কগলার এবং তিনি শ্যালেনবার্গের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, তাদের মধ্যে খুব গঠনমূলক সম্পর্ক রয়েছে।

কুর্টস পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে বলেন, যেটা এখন প্রয়োজন, তা হলো স্থিতিশীলতা। এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমি সরে দাঁড়াচ্ছি। এতে করে বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তবে আমি অবশ্যই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ ব্যবহার করব।

তিনি আরও বলেন, তিনি তার দলের নেতা থাকবেন ও পার্লামেন্টে বসবেন। 

জেবাস্তিয়ান কুর্টস ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে দেশটির চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে ২০১৭ সালে তিনি রক্ষণশীল ওভিপি পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং সে বছরের শেষ দিকে মাত্র ৩১ বছর বয়সে নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রধানদের একজনে পরিণত হন।

তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে সেটা ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ঘটেছে।

অস্ট্রিয়ার ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড করাপশন বিষয়ক প্রসিকিউটর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জেবাস্তিয়ান কুর্টসসহ ১০ জন ও তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাস ভঙ্গ, দুর্নীতি, ঘুষের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে তদন্ত চলছে।

প্রসিকিউটররা ইতিমধ্যে চ্যান্সেলরি, অর্থ মন্ত্রণালয় ও চ্যান্সেলরের সিনিয়র সহকারীদের বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়েছে।

কুর্টস তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টারি কমিশনে একটা মিথ্যা বিবৃতি দেয়ার একটা পৃথক অভিযোগ আনা হয় গত মে মাসে। সেই তদন্তে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও অস্বীকার করেছেন। -বিবিসি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫