
ডেভিড অ্যামেস
ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ডেভিড অ্যামেস হত্যাকাণ্ডকে ‘সন্ত্রাসী ঘটনা’ উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) নিজ নির্বাচনী এলাকা এসেক্সের একটি গির্জার ভেতর ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশের দাবি, এই হামলার সাথে ইসলামি চরমপন্থীদের যোগসূত্র থাকতে পারে।
হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে ২৫ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। মেট্রোপলিটন পুলিশ আরো জানিয়েছে, তদন্তের অংশ হিসেবে বর্তমানে লন্ডন এলাকার দুইটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশের কর্মকর্তারা। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি একাই এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করেছে বলে ধারণা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের সাথে বৈঠকের সময় তার ওপর হামলা চালানো হয়। রয়র্টাসের খবরে বলা হয়েছে, এসেক্সের বেলফেয়ার্স মেথোডিস্ট গির্জায় নির্বাচনি সভায় হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। ডেভিডকে উদ্ধার করে জরুরি চিকিৎসা দেয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ডেভিড এমন একজন ব্যক্তি, যিনি এই দেশ ও এর ভবিষ্যৎকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন। আজ আমরা একজন ভালো জনসেবক, প্রিয় বন্ধু ও সহকর্মী হারালাম।
ব্রিটিশ রাজনীতিবিদরা এটিকে গণতন্ত্রের ওপর হামলা বলে বর্ণনা করেছেন। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও উদ্বিগ্ন।
১৯৮৩ সালে বাসিলডন থেকে পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রথম নির্বাচিত হন ডেভিড। পরে ১৯৯৭ সাল থেকে সাউথএন্ড ওয়েস্ট থেকে নির্বাচন করেন।
এর আগে ২০১০ সালে লেবার পার্টির এমপি স্টিফেন টিমস তার নিজ কার্যালয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছিলেন। চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট গণভোটের আগের দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন আরেক লেবার নেতা জো কক্স।
যুক্তরাজ্যে গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ নিয়ে দুইজন সংসদ সদস্য প্রাণঘাতী আক্রমণের শিকার হলেন। ফলে দেশটিতে রাজনীতিবিদদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।