ছবি : ডয়চে ভেলে
জাপানের রাজধানী টোকিওতে একটি পাতালরেলে ছুরি হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ওই ব্যক্তির বয়স ২০-এর ঘরে। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হ্যালোউইন উপলক্ষ্যে রবিবার বহু মানুষ টোকিও থেকে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল শিনজুকু যাচ্ছিলেন। সেখানে হ্যালোউইন পার্টির আয়োজন হয়েছিল। হামলাকারী সেই সুযোগটিই ব্যবহার করে। ভিড় ট্রেনে উঠে প্রথমে তিনি কামরার ভিতর আগুন লাগিয়ে দেন। তারপর ছুরি নিয়ে হামলা চালান। সব মিলিয়ে ঘটনায় ১৭ যাত্রী আহত হয়েছেন। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পালানোর চেষ্টা করলেও টোকিও পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই হামলাকারীকে। কেন সে কাজ করল, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জোকারের পোশাকে ট্রেনে উঠেছিলেন ওই ২৪ বছরের ব্যক্তি। হ্যালোউইন উপলক্ষ্যে অনেকেই নানারকম সাজেন, ফলে প্রথমে কারও সন্দেহ হয়নি তাকে। ব্যাটমান কমিকসের একটি চরিত্রের আদলে সেজেছিলেন তিনি। সবুজ জামা, নীল প্যান্ট ও বেগুন কোট, মুখে রং মাখা ছিল।
ট্রেন ছাড়ার পরে ওিই ব্যক্তি কামরায় একটি তরল ছড়িয়ে দেয়। তারপর সেখানে আগুন লাগিয়ে দেন। হঠাৎ এমন ঘটনায় যাত্রীরা বিচলিত হয়ে পড়েন। চলন্ত ট্রেনে অনেকেই পাশের কামরায় পালানোর চেষ্টা করেন। অনেকে জানালা খোলার চেষ্টা করেন। গোটা কামরায় ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে গেলে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় ওই ব্যক্তি।
ট্রেন পরের স্টেশনে পৌঁছানোর পরে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। হামলাকারীর পরিচয় এখনো জানায়নি প্রশাসন। কেন সে এভাবে সাধারণ যাত্রীদের উপর আক্রমণ চালালো, তাও এখনো পরিষ্কার নয়।
তবে জাপানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রশাসনকে ওই ব্যক্তি বলেছে- সাধারণ মানুষকে মেরে প্রশাসনের হাতে ধরা পড়াই তার উদ্দেশ্য ছিল। তিনি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হতে চান।
জাপানে অপরাধপ্রবণতা কম। বড় অপরাধের সংখ্যাও কম। সাধারণ মানুষ বন্দুক কিনতে পারে না। কিন্তু এর আগেও সেখানে ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অলিম্পিক চলাকালীন এক ব্যক্তি একইভাবে ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ১০ জন। -ডয়চে ভেলে