লিবিয়ায় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গাদ্দাফির প্রিয় ছেলে সাইফ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪৩

সাইফ আল-ইসলাম আল-গাদ্দাফি
লিবিয়ার প্রয়াত শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম আল-গাদ্দাফি (৪৯) দেশটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল রবিবার (১৪ নভেম্বর) তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। গাদ্দাফি যুগের অবসানের পর লিবিয়াজুড়ে যে সংঘাত চলছে, এই নির্বাচনকে সেই সংঘাত থামানোর মাধ্যম মনে করা হচ্ছে।
সাইফকে তার বাবার জীবিতকালেই মনে করা হতো গাদ্দাফির উত্তরাধিকারী। ২০১১ সালের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হন লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা গেছে সাইফ নির্বাচনি একটি পোস্টারের সামনে বসে আছেন এবং প্রার্থী হবার কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন। তার মুখে দেখা যাচ্ছে কাঁচাপাকা দাড়ি ও পরনে বাদামী রঙের লিবিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক।

তিনি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পবিত্র কোরানের দুটি আয়াতের কিছু অংশের উদ্ধৃতি করে বলেন, ‘আল্লাহর ইচ্ছাই সব সময় পূরণ হয়, যদিও অবিশ্বাসীরা তা পছন্দ করে না।’
গাদ্দাফির পতনের পর থেই লিবিয়ায় সংঘাত চলছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, ২৪ ডিসেম্বরের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠূ হবে না। জাতিসংঘ ও বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো সতর্ক করে দিয়েছে, এ নির্বাচনকে কেউ বানচাল করার চেষ্টা করলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
গাদ্দাফির শাসনের পতনের পর একটি মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন সাইফ। তারা তাকে ছয় বছর আটক করে রেখেছিল। রয়টার্স বলছে, তাকে একটি আদালত ২০১৫ সালে মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছিল এবং ত্রিপোলিতে গেলে তাকে হয়তো গ্রেফতার বা অন্য কোনও বিপদের মুখে পড়তে হবে।
এসব সত্ত্বেও ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছেন সাইফ। কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক টাইমসে তার একটি সাক্ষাৎকারও প্রকাশিত হয়।
রয়টার্সের এক রিপোর্ট বলছে, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে পড়া সাইফ অনর্গল ইংরেজি বলতেন এবং পশ্চিমা মহলে একসময় তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তবে ২০১১ সালের ঘটনাবলীর সময় পিতার পক্ষ নেবার পর তার সেই ভাবমূর্তি অনেকটাই বদলে যায়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এখনও তাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে খুঁজছে। -বিবিসি