Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

ভার্চুয়াল বৈঠকে দুই পুরোনো বন্ধু, সংঘাত এড়িয়ে চলার আহ্বান

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১২:৩৩

ভার্চুয়াল বৈঠকে দুই পুরোনো বন্ধু, সংঘাত এড়িয়ে চলার আহ্বান

ভার্চুয়াল বৈঠকে বাইডেন ও শি। ছবি : রয়টার্স

দুই দেশের মধ্যে সংঘাত কমাতে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠকের গোড়ায় দুই নেতাই প্রাথমিক বক্তব্য জানিয়েছেন। তাদের দুইজনের কথাতেই সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি উঠে এসেছে। এরপর তারা একান্ত আলোচনায় ঢুকে পড়েন। 

ক্ষমতাধর দুই দেশের নেতা যোগাযোগ জোরদার করা ও সংঘাত এড়িয়ে চলতে একে অন্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউস থেকে টেলিভিশন স্ক্রিনে শিকে উদ্দেশ করে বাইডেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে যেন সংঘাতে রূপ না নেয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। 

বেইজিং থেকে বাইডেনকে ‘আমার পুরোনো বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেন শি । তিনি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা জোরদার করা প্রয়োজন।

কোভিডকালে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি চীনের বিরুদ্ধে সরব হন। কোভিডের জন্যেও চীনকে দায়ী করেন। এরপর বাইডেন ক্ষমতায় এলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি গ্লাসগোয় জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেয়নি চীন। তা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন বাইডেন। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের ভার্চুয়াল বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৈঠকের শুরুতেই প্রাথমিক প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট। শি বলেছেন, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পেরে তিনি খুশি। বস্তুত, বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, শি’ও তখন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দুইজন একসঙ্গে সফরও করেছেন। ফলে দুইজনের মধ্যে পুরনো সম্পর্ক আছে। 

শি’র বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড মোকাবিলার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হওয়া একান্ত প্রয়োজন এবং তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে।

অন্যদিকে বাইডেন বলেছেন, বিশ্ব রাজনীতির কাছে দায়বদ্ধ থাকার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি অত্যন্ত জরুরি এবং এর জন্য কমনসেন্স গার্ডরেল তৈরি করা প্রয়োজন। সংকীর্ণ বিতর্কের ঊর্ধ্বে ওঠার মানসিকতাই হলো কমনসেন্স গার্ডরেল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এদিনের বৈঠক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। দুই দেশের মধ্যে বিতর্ক কমার সম্ভাবনাও তারা দেখছেন না। তবে সংঘাত কমানোর একটি রাস্তা খুলল বলে তারা মনে করছেন। 

বাইডেন এদিনের বৈঠকেও মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলবেন বলে মনে করা হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখবেন না বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

সম্প্রতি তাইওয়ান নিয়েও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাইওয়ানকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব। অন্যদিকে চীন তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মনে করে। তাইওয়ানের আকাশে একাধিকবার চীন যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক আরো বেড়েছে। 

এদিনের বৈঠকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে তাইওয়ান ইস্যু। বাইডেন বৈঠকের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের চলমান উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা করেছেন। -ডয়চে ভেলে ও এএফপি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫