Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ইন্দিরার নাম না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ রাহুল

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:১০

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ইন্দিরার নাম না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ রাহুল

ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাম উচ্চারণ না করায় ক্ষেপেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরাখন্ডের রাজধানী দেরাদুনে ‘বিজয় সম্মান সমাবেশ’-এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাহুল।

তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী দেশের জন্য ৩২টি গুলি শরীরে নিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর নাম পর্যন্ত উচ্চারিত হলো না!

রাহুলের বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রও একই অভিযোগ করে বলেন, দেশের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাম দেশের নারীবিদ্বেষী সরকার উচ্চারণ করল না। সেটাও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে। অথচ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পেছনে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য।

প্রিয়াঙ্কা তার টুইটের সঙ্গে সাদা–কালো চারটি ছবিও পোস্ট করেন। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ফুল হাতে আহত জওয়ানকে দেখতে গেছেন ইন্দিরা। অপর একটি বীর সেনানীদের সঙ্গে করমর্দন করছেন। আরেকটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সহাস্যে ইন্দিরা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানীতে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে বিজয় মশাল প্রজ্জ্বলিত হয়। এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা খাতায় তিনি লেখেন, ‘সমগ্র জাতির পক্ষে আমি ১৯৭১ সালের বীর যোদ্ধাদের স্যালুট করছি। শৌর্য ও বীর্যের অতুলনীয় গাথা যাঁরা রচনা করেছেন, সেই বীর যোদ্ধাদের জন্য দেশের নাগরিকেরা গর্বিত।’

প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাদের ত্যাগের জন্য দেশ আজীবন ঋণী থাকবে। শহীদদের বীরত্ব প্রতিটি প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। দেশ তাঁদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।’

বৃহস্পতিবার ভারতের সংসদের উভয় কক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতীয় সেনানীদের সাহস ও বীরত্বের উল্লেখ করা হয়।

দেরাদুনের সভায় রাহুল বলেন, মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে পাকিস্তান পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল। সেটা সম্ভব হয়েছিল গোটা দেশ এক ছিল বলে। আজ দেশের শাসক তাদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে দেশকে বাঁটোয়ারা করছে। মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়াচ্ছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫