ইয়েমেনের বিমানবন্দরে হামলা সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:৪৫

ইয়েমেনের এই বিমানবন্দরে এই হামলা হয়েছে। ছবি : বিবিসি
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে। জোটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আন্তঃসীমান্ত বিমান হামলা চালানোর কাজে বিমানবন্দরটিকে ব্যবহার করা হতো।
সৌদ সংবাদসংস্থা আল আরাবিয়া গতকাল সোমবার (২০ ডিসেম্বর) এই হামলার কথা জানিয়েছে।
হামলার আগে জোটের তরফ থেকে জাতিসংঘ ও সাধারণ মানুষকে বিমানবন্দর ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল বলে সংবাদ সংস্থাটি দাবি করেছে।
এই বিমান হামলায় বিমানবন্দরের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। এছাড়া হতাহতের খবরও এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেশটির সরকারের গৃহযুদ্ধ চলছে। বিদ্রোহী বাহিনী গত কয়েক বছর ধরে বিমানবন্দরটি নিজেদের দখলে রেখেছে।
একইসঙ্গে বিমানবন্দরটি জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন মানবিক ত্রাণ সহায়তার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিমান হামলার সময় নির্দিষ্ট কয়েকটি সাইট অর্থাৎ কিছু চিহ্নিত সামরিক স্থাপনাকে বেছে নেয়া হয়েছিল।
সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের একজন মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টার্কি আল-মালকি বলেছেন, বিমান হামলায় ছয়টি লক্ষবস্তু, বিশেষ করে যেসব জায়গা থেকে ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হতো, ড্রোন চালানো প্রশিক্ষণ দেয়া হয়, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন এমন মানুষজনের বাড়িঘর এবং যেসব জায়গায় ড্রোন রাখা হয় সেসব স্থান লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
তবে কোনও পক্ষই এখনও হামলার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি।
গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আরব বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ইয়েমেন ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে পড়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে।
বিদ্রোহী বাহিনী দেশটির কেন্দ্রীয় শহর মারিব ও উপকূলীয় শহর হোদেইদাকে টার্গেট করেছে। উল্টোদিকে জোট রাজধানী সানা ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য এলাকাতে বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।
২০১৫ সালে হুথি বিদ্রোহীরা সানা থেকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ করেছিল। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছেন এবং এ গৃহযুদ্ধ প্রতিযোগী আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে একটি ‘প্রক্সি’ যুদ্ধে পরিণত হয়েছে। -বিবিসি ও ডয়চে ভেলে