
প্রতীকী ছবি
সার্স-কোভ-২। করোনাভাইরাসের এই ধরনের চরিত্র বদলের গতির সঙ্গে তাল রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা। এবার জানা গেল, শুধু মিউটেট করাতেই এই ভাইরাসটির রং বদলের খেলার শেষ নয়, প্রত্যেক ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে বদলে যায় ভাইরাসটির উপসর্গের অনুক্রমও।
যুক্তরাষ্ট্রের সাদার্ন ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এক অনুসন্ধানে স্ট্রেনের ভিত্তিতে করোনার উপসর্গের ক্রম বদলের বিষয়টি উঠে এসেছে। ‘পিএলওএস কম্পিউটেশনাল বায়োলজি’ নামে এক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সংশ্লিষ্ট গবেষণাটির বিস্তারিত প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে তিন লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৩ জন আক্রান্তের উপসর্গের ক্রম পরীক্ষার ভিত্তিতে একটি ‘সায়েন্টিফিক মডেল’ তৈরি করা হয়। যার ভিত্তিতে এই নয়া তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণাপত্রের বয়ান অনুযায়ী, করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্রাথমিক স্তরের সঙ্গে পরবর্তীকালের আক্রান্তদের উপসর্গের ফারাক বিস্তর। যেমন- চীনে যখন প্রথম সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তখন কাশি বা বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গেরও আগে জ্বরের লক্ষণ প্রথম দেখা গিয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে কাশি বা অন্যান্য লক্ষণের পরে জ্বর আসতে দেখা যাওয়াটাই স্বাভাবিক হয়ে ওঠে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
মূলত ‘ডি৬১৪জি’ স্ট্রেনের কবলে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে যেমন প্রথম উপসর্গ হিসেবে কাশিরই পাল্লা ভারী। প্রথমে ভৌগোলিক অবস্থানের প্রভাবে এই উপসর্গ বদল বলে ভাবা হলেও পরে ব্রাজিল, হংকং বা জাপানের মতো দেশের মানুষের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, এটি আদতে ভাইরাসটির চরিত্র বদলের কারণেই ঘটে।
এখনও পর্যন্ত যেটুকু তথ্য তাদের কাছে রয়েছে তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট গবেষকদের বক্তব্য, ‘করোনাভাইরাসের প্রত্যেক মিউটেশনের পরে উপসর্গের অনুক্রমে বদল ঘটছে। উপসর্গের প্রেক্ষিতে দেখতে গেলে ‘ডি৬১৪জি’ ভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে বেশি সংক্রামক। কারণ কাশিই এর প্রথম লক্ষণ এবং কাশির মাধ্যমেই ভাইরাসটি সবচেয়ে দ্রুত ছড়ায় বলে এখনও পর্যন্ত জানা গেছে।’ -আননন্দবাজার পত্রিকা