চেক রিপাবলিকের এক লোকগান শিল্পী ইচ্ছাকৃত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন। তার ছেলে বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

৫৭ বছর বয়সী হানা হোরকা নামে ওই শিল্পী করোনা টিকাও নেননি। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, তিনি সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এর দুইদিন পরেই তার মৃত্যু হয়।

তার ছেলে জ্যান রেক বলেন, তিনি ও তার বাবা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর তার মা ইচ্ছাকৃত সংক্রমিত হয়েছিলেন, যাতে তিনি সুস্থ হবার পর বিভিন্ন জায়গায় তার যাতায়াতে সহজ হয়।

এই সংগীত শিল্পীর স্বামী ও সন্তান টিকা গ্রহণ করেছেন এবং বড়দিনের সময় তারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।

রেক জানান, মা তখন দূরত্ব বজায় না রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের সংস্পর্শে এসেছেন। তিনি নিজেকে সপ্তাহখানেকের জন্য আলাদা রাখতে পারতেন। কিন্তু সেটি না করে তিনি সারাক্ষণ আমাদের সাথে ছিলেন।

এদিকে গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) চেক রিপাবলিকে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে সিনেমা হলে, বার ও ক্যাফেসহ বিভিন্ন জায়গায় ঢুকতে হলে টিকা সনদ দেখাতে হয়। যদি সেটি না থাকে, তাহলে করোনায় আক্রান্ত হবার প্রমাণ দেখাতে হবে।

রেক বলেন, তার মা চেক রিপাবলিকের অন্যতম পুরনো একটি লোকগান দলের সদস্য। তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে চেয়েছিলেন, যাতে বিভিন্ন জায়গায় যাবার ক্ষেত্রে তার বিধি-নিষেধ কম থাকে।

গত রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে হানা মারা যান। বাইরে হাঁটতে যাবার জন্য তিনি যখন তৈরি হচ্ছিলেন তখন আকস্মিকভাবে তার পিঠে ব্যথা শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনি বেডরুমে শুয়ে পড়েন।

রেক বলেন, মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেল। তিনি মারা গেলেন।

হানা টিকা না নিলেও কোভিড-১৯ টিকাকে কেন্দ্র করে যেসব অদ্ভুত গুজব তৈরি হয়েছিল, সেগুলো তিনি বিশ্বাস করতেন না। তিনি মনে করতেন টিকা নেবার চেয়ে আক্রান্ত হয়ে যাওয়া ভালো, বলেন রেক।

চেক রিপাবলিকের ৬৩ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন। তবে ইউরোপের অন্যান্য দেশে গড়ে ৬৯ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছে। -বিবিসি