উত্তর কোরিয়া ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটি তার রেকর্ড ব্রেকিং ফায়ার পাওয়ার বাড়িয়ে তুলতে এ মাসেই সপ্তমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল। 

আজ রবিবার (৩০ জানুয়ারি) পূর্ব সাগরের দিকে আরও একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।

সিউল সতর্ক করে বলেছে, পরবর্তী টেস্ট হতে পারে পারমাণবিক ও দূরপাল্লার পরীক্ষা।

পিয়ংইয়ং কখনোই একমাসে এতোগুলো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেনি। গত সপ্তাহে তারা দীর্ঘপাল্লার ও পারমাণবিক অস্ত্রের টেস্ট স্থগিত রাখার স্বআরোপিত সিদ্ধান্ত বাতিল করার হুমকি দিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত থাকায় উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা আরও দ্বিগুণ বাড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নেতা কিম জং উন দেশটির সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন জোরদারের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে। 

দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, উত্তর কোরিয়া ২০১৭ সালের প্যাটার্ন অনুসরণ করছে, এ সময় কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল, পিয়ং ইয়ং শিগগিরই পুনরায় পারমাণবিক ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শুরু করতে পারে। 

উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসার কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। সিউলে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের পরে তিনি এ কথা বলেন। 

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়া একটি মধ্যম মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা শনাক্ত করেছে, এটি উর্ধ্বমুখী কোণে পূর্ব সাগরের অভিমুখে ছোঁড়া হয়। -এএফপি