ক্ষেপণাস্ত্র থেকে তোলা ছবি প্রকাশ উত্তর কোরিয়ার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:১১

ক্ষেপণাস্ত্র থেকে তোলা ছবি। ছবি : এএফপি
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কিছু ছবি প্রকাশ করেছে, যেগুলো মহাকাশে তাদের উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে তোলা বলে দেশটির দাবি। এসব ছবিতে কোরিয়া উপদ্বীপ ও এর আশেপাশের এলাকা দেখা যাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, এটি ছিল হোয়াসং-১২ নামে মধ্যম পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান জানিয়েছে, জাপানের উপকূলের কাছে সাগরে পড়ার আগে এটি দুই হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় উঠেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব তীরে স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টার কাছাকাছি এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। ২০১৭ সালের পর এটি ছিল তাদের সর্ববৃহৎ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। এই মাসে সপ্তমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার চালানো ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে দেশ দুইটি।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিউজ এজেন্সি, কেসিএনএ ছবিগুলো প্রকাশ করে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের যেখানে বোমা থাকে, সেখানে সংযুক্ত একটি ক্যামেরা থেকে ছবিগুলো তোলা হয়েছে। দুইটি ছবিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সময়কাল উঠে এসেছে। বাকি ছবিগুলো তোলা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশের দিকে ওঠার সময়।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, আধা ঘণ্টায় ক্ষেপণাস্ত্রটি ৮০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে।
উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার উপর জাতিসংঘের একটি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দেশটির উপর জাতিসংঘের কঠোর অবরোধ রয়েছে। কিন্তু পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি নিয়মিত এসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে। দেশটির নেতা কিম জং উন সামরিকভাবে দেশটিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বলছে, ২০১৭ সালের নভেম্বরের পর আর এত বড় মিসাইল ছোঁড়া হয়নি।
আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কেসিএনএ জানায়, কতটা নিখুঁত, তা যাচাইয়ের জন্য ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। পরীক্ষা চালানোর সময় কিম জং উপস্থিত ছিলেন না।
যুক্তরাষ্ট্র জানুয়ারি মাসে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করে, এরই প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া কয়েকটি মিসাইল নিক্ষেপ করে। জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই দুই দেশের মধ্যে সংলাপ থমকে গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ন্যাভাল কমান্ডার প্রফেসর কিম ডং ইয়ুপ বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া বিচ্ছুর লেজের মতোন একটা প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করছে। তিনি মনে করেন, উত্তর কোরিয়ার মূল উদ্দেশ্য আক্রমণ নয়, প্রতিরক্ষা করা। তাই দেশটি ‘বৈচিত্র্যময় এক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ নিশ্চিত করছে। -বিবিসি