
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কের অবসান ঘটাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে রাজ্য সরকার। নির্দেশনা অনুযায়ী, স্কুল ও কলেজে সমতা অখণ্ডতা এবং জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে এমন পোশাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শিক্ষা আইন, ১৯৮৩-এর ১৩৩ (২) ধারা মেনে এ নির্দেশনা দিয়েছে কর্ণাটক সরকার। ওই ধারায় বলা আছে, একটি অভিন্ন শৈলীর পোশাক বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের কলেজ উন্নয়ন কমিটি বা প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে আসা প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় কলেজগুলোর প্রশাসনিক বোর্ডের আপিল কমিটির নির্বাচিত পোশাক পরতে হবে।
উদুপির জেলার একটি সরকারি কলেজে গত ৩১ ডিসেম্বর পোশাক নিয়ে বিধিনিষেধ আরোপ হয়। এতে মুসলিম ছাত্রীরা ক্লাস চলাকালে হিজাব বা নেকাব পরে থাকতে পারবেন না। তবে ক্লাস শেষে বা শুরুর আগে পর্দা করতে আপত্তি নেই।
১৯৮৫ সাল থেকে এই কলেজছাত্রীদের ড্রেস কোড- চুড়িদার কিংবা দোপাট্টা। কিন্তু অনেক মুসলিম ছাত্রী এসবের ওপর হিজাব বা নেকাব পরে আসতেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এদিনই প্রতিবাদ করেন ছয় শিক্ষার্থী। সময়ের সঙ্গে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
এর বিরোধিতায় দেখা যায় কয়েকটি কট্টর হিন্দু সংগঠনকে। কিছুদিন আগে কোপ্পা জেলার একটি কলেজের ছাত্ররা জাফরান রঙের স্কার্ফ পরে ক্লাসে এসে হিজাব পরার প্রতিবাদ করেন।
এ বিষয়ে জনতা দল (সেকুলার) নেতা এবং রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী বলেন, ‘মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার জন্য কলেজ থেকে দূরে রাখা কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও’ স্লোগানের সরাসরি বিরোধিতা। এ ধরনের পদক্ষেপ ‘বেটি হটাও’-এ পরিণত হবে।