Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক

সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত হিজাব পরায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:০৫

সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত হিজাব পরায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

গত মঙ্গলবার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে গেরুয়া উত্তরীয় পরা একদল কিশোরের কাছে হেনস্তার শিকার হন মুসকান || ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হিজাব পরার কারণে হেনস্তার শিকার ও শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়টি এখন আদালতে আলোচনাধীন। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের হিজাব বা ধর্মীয় পোশাক আপাতত পরতে নিষেধ করলেন কর্ণাটকের হাইকোর্ট।

ভারতের গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, যেহেতু বিষয়টি আদালতে সুরাহার অপেক্ষায়, তা রায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এমন পোশাক পরতে নিরুৎসাহিত করেছেন আদালত। আগামী সোমবার এই ইস্যুতে আবারও শুনানি হবে।

এর আগে গত বুধবার এ নিয়ে আদালতের শুনানি হয়। পরে এটিকে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি রিতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি কৃষ্ণা এস দীক্ষিত ও বিচারপতি জে এম খাজি। গতকাল বৃহস্পতিবার হিজাব ইস্যুতে এই বেঞ্চে শুনানি হয়েছে।

হিজাব ইস্যুতে কর্ণাটকের মুসলিম শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, শ্রেণিকক্ষে তাঁরা বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন। তাদের পক্ষে এই মামলা লড়ছেন আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে। তিনি গতকাল আদালতে বলেন, কর্ণাটকের শিক্ষা আইনের কোথাও স্কুলের পোশাক নিয়ে কিছু বলা হয়নি।

তবে কর্ণাটক সরকারেপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার চায় আইন হোক। কিন্তু স্কুল বা কলেজে একদল মাথা ঢেকে আসবে, আরেক দল গেরুয়া উত্তরীয় পরে আসবেএটা হতে পারে না।

এই সংকটের শুরু হয়েছিল কর্ণাটকের উদুপি জেলায়। গত ডিসেম্বরের ঘটনা এটি। হিজাব পরার জন্য শ্রেণিকক্ষে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, এমন অভিযোগ করেন উদুপি জেলায় সরকারি গার্লস পিইউ কলেজের ছয় শিক্ষার্থী। এরপর মুসলিম ছাত্রীরা এর প্রতিবাদ শুরু করেন। নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেই রাজ্যটিতে হিজাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই প্রতিবাদ এখন বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে। ছাড়া বেঙ্গালুরু শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশে সব ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্ণাটকের সব স্কুল-কলেজ তিন দিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছাড়া রাজনীতিকেরাও নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট বার্তায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, তাঁরা কী পোশাক পরবেন, তা তাঁদের নিজেদের পছন্দের বিষয়। এই অধিকার সংবিধানের মাধ্যমে সুরক্ষিত।

হিজাব-বিতর্ক নিয়ে বেশ কিছু আবেদন পড়েছে উদুপিতে। মুসলিম নারী শিক্ষার্থীরা এসব আবেদন করেছেন। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এতে যুক্ত হয়েছেন। তবে সর্বোচ্চ আদালত আপাতত বিষয়টি কর্ণাটক হাইকোর্টের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, আগে কর্ণাটকের হাইকোর্ট কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটা দেখা যাক।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫