ইউক্রেনের দুই রুশপন্থী অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে ‘শান্তি রক্ষার জন্য’ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ নির্দেশ দেন।

সেনা পাঠানোর নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা আগে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন পুতিন। 

ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, রাশিয়ার জনগণ তার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে। 

ঠিক কত সংখ্যক সৈন্য ওই অঞ্চলে পাঠানো হবে তা রুশ প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেননি। তবে বলেছেন যে এখন সেখানে সেনা ঘাঁটি তৈরির অধিকার রাশিয়ার রয়েছে।

পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে ডিক্রিতে সই করেছেন পুতিন। ডিক্রি অনুযায়ী, ওই দুই অঞ্চলে রুশ সেনারা শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।

আদেশে বলা হয়েছে, যেদিন ডিক্রি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেদিন থেকেই তা কার্যকর।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পুতিনের ডিক্রি জারির পর রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত শহর দোনেৎস্কে ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ঢুকতে দেখা গেছে।

বিবিসির মস্কোর সংবাদদাতা স্টিভ রোসেনবার্গ বলছেন, অনেক বছর আগে যখন রাশিয়া প্রথম পূর্ব ইউক্রেনে সৈন্য সমাবেশ ঘটায় তখন মস্কোই মূলত এই বিদ্রোহী অঞ্চল সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তাদের স্বাধীনতার ব্যাপারে ভ্লাদিমির পুতিনের এই আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ‘ইতিহাস বদলে দেওয়া একটি মুহূর্ত’।

প্রথমত, এটা মূলত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া শান্তি প্রক্রিয়াকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় পুতিন নিজেও অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন।

একই সঙ্গে পূর্ব ইউক্রেনে একটা বড় ধরনের সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা তৈরি করেছে। আর এই ডিক্রিতে সই করার অর্থ হলো এটা পরিষ্কার যে পুতিন ইতিমধ্যে ওইসব বিদ্রোহী এলাকায় সৈন্য পাঠাচ্ছে। -বিবিসি