দৈনিক সংক্রমণ কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। ফাইল ছবি
চীন থেকে প্রাদুর্ভাব হওয়া করোনাভাইরাসে দৈনিক সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ৬১ লাখ ছাড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় সোয়া ১০ লাখে। এসময়ে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া।
জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালের তথ্য অনুযায়ী, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ১৯ লাখ ২৫ হাজার ৯১০ জনে। আর বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬১ লাখ ৪ হাজার ৪২০ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪০ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার ৩৭৭ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১৪ লাখ ৪১ হাজার ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫১৪ জন মারা গেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় অন্যতম জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার ৬৬১ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৪ জন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দেশের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৩ জনের।
আক্রান্তের তালিকায় সপ্তম স্থানে আছে রাশিয়া। তবে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি। এসময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪০৯ জন ও নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ২৮ হাজার ৭০৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৪০১ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯০১ জনের।
করোনা আক্রান্তের তালিকায় ১১তম স্থানে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এসময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ১৬৯ জন এবং মারা গেছে ৩২৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯৫ লাখ ৮২ হাজার ৮১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ১২ হাজার ৭৫৭ জন মারা গেছে।
আক্রান্ত দেশের তালিকায় ফ্রান্স চতুর্থ স্থানে রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪১ লাখ ৬১ হাজার ৩৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৫ জন মারা গেছে।
আক্রান্ত দেশের তালিকায় জার্মানি রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ২২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ১ লাখ ২৭ হাজার ৫৪১ জন মারা গেছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনও রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
আর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনও রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।
২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।