
মেক্সিকোতে বেড়েই চলেছে হ্যারিকেন আগাথার তাণ্ডবে। ছবি: এএফপি
মেক্সিকোতে হ্যারিকেন আগাথার তাণ্ডবে কমপক্ষে ১০ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখনো প্রায় ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত উত্তর আমেরিকার এই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে হ্যারিকেন আগাথার প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও এর জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধ্বসের কারণে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মেক্সিকান কর্মকর্তারা বরাত দিয়ে আজ বুধবার (১ জুন) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা এএফপি এসব কথা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হ্যারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) বলেছে, ১৯৪৯ সালে রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে মে মাসে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে আছড়ে পড়া সবচেয়ে শক্তিশালী হ্যারিকেন ছিল আগাথা।
এএফপি জানিয়েছে, মেক্সিকোর ভেরাক্রুজ প্রদেশে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ মে) প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে এটির অবশিষ্টাংশের সাথে অভ্যন্তরীণভাবে সরে গিয়ে আগাথা দুর্বল হয়ে পড়ে।
এদিকে মেক্সিকোর ওক্সাকা প্রদেশের গভর্নর আলেজান্দ্রো মুরাট রেডিও ফর্মুলাকে বলেছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ জন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের বেশিরভাগই পাহাড়ের ওপরের বাসিন্দা। দুর্যোগে দুর্ভাগ্যবশত ১০ জন যারা প্রাণ হারিয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে।
এএফপি জানিয়েছে, গত সোমবার (৩০ মে) ওক্সাকার পুয়ের্তো অ্যাঞ্জেলের কাছে ক্যাটাগরি টু হ্যারিকেন হিসেবে আঘাত হানে আগাথা। এসময় হ্যারিকেনটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার (১০৫ মাইল)।
মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও আটলান্টিক উপকূলে নিয়মিতভাবে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় আঘাত হেনে থাকে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে এসব ঝড় আঘাত হানে।
২০২১ সালে মেক্সিকোতে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় ছিল হ্যারিকেন গ্রেস। গত বছরের আগস্টে পূর্বাঞ্চলীয় ভেরাক্রুজ ও পুয়েব্লা প্রদেশে তৃতীয় ক্যাটাগরির এই হ্যারিকেনটির আঘাতে ১১ জনের প্রাণহানি হয়।