
তুর্কিয়ে দেশের পতাকা। ছবি: টিআরটি
সম্প্রতি তুরস্কের নাম বদলে গেছে এ বিষয়টি সবার জানা। কয়েকদিন আগেও দেশটির নাম ছিলো টার্কি (Turkey)। তবে বর্তমানে দেশটির নাম ‘তুর্কিয়ে’ (Türkiye)। দেশের নাম পরিবর্তন কেনো জরুরি এ ব্যাপারে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি গত বছরের ডিসেম্বরে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে নিয়ে এসেছিলো।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এক ভাষণে বলেছিলেন, তুরস্কের সংস্কৃতি, সভ্যতা ও মূল্যবোধ বেশি প্রতিনিধিত্ব হয় ‘তুর্কিয়ে’ শব্দ দিয়ে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের এ ঘোষণার পর পরই দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি বিভিন্ন সময় দেশটির নাম পরিবর্তনের যৌক্তিক কারণ ব্যাখ্যা করেছে।
সে সময় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিশ্বের সামনে তুরস্কের পরিচিতির জন্য দেশের নাম পরিবর্তন করা কয়েকটি কারণে বেশ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো- পশ্চিমা বিশ্বে ক্রিসমাস, নববর্ষ ও থ্যাংকস গিভিং উৎসবের সময় ঐতিহ্যগতভাবে টার্কি মুরগির মাংস খাওয়া হয়। সেই জায়গা থেকেও টার্কির নাম পরিবর্তন জরুরি।
টিআরটি আরো জানায়, ইংরেজি ভাষার ক্যামব্রিজ ডিকশনারিতে টার্কি বলতে ‘ব্যর্থ’, ‘নির্বোধ’ বা বেকুব ব্যক্তি’ কে নির্দেশ করা হয়। নতুন নাম পরিচিত করার ক্যাম্পেইনের আওতায় তুরস্কে উৎপাদিত সব পণ্যে এখন ‘মেড ইন তুর্কিয়ে’ লেখা থাকবে। দেশটির পর্যটন খাতে স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করা হবে, ‘হ্যালো তুর্কিয়ে’।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে তুরস্কের কাছ থেকে অনুরোধ পাওয়ার সাথে সাথে তারা নাম পরিবর্তন করেছেন। -সূত্র: সিএনএন ও বিবিসি