বিশ্বে ৭ শতাধিক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২২, ১৩:০৮

মাইক্রোস্কোপে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস কণা। ছবি : আল জাজিরা
যুক্তরাষ্ট্রে ২১ জনসহ বিশ্বে সাত শতাধিক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ৩১ মে’তেই বিশ্বজুড়ে আফ্রিকার বাইরে অন্তত ৩০টি দেশে ৫৫০ জনের বেশি মানুষের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এদিকে মাঙ্কিপক্স নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার (৩ জুন) দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) জানিয়েছে।
সিডিসি আরো জানায়, তদন্তে দেখা যাচ্ছে এটি দেশের অভ্যন্তরেই ছড়াচ্ছে। প্রথম ১৭ রোগীর ১৬ জনই পুরুষ এবং এরা পুরুষের সাথে যৌন মিলনের মাধ্যমে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বাকিরা ভ্রমণ সম্পর্কিত কারনে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে।
মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সব রোগীই সুস্থ হচ্ছে কিংবা সুস্থ হয়েছে। এতে কেউ মারা যায়নি। মাঙ্কিপক্সের সাথে স্মলপক্সের সম্পর্ক থাকলেও এটি কম ঝুঁকিপূর্ণ। মাঙ্কিপক্স সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় দেখা গেলেও গত মে মাস থেকে এটি ইউরোপেও শনাক্ত হয়। এরপর থেকে বিশ্বে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
কানাডা শুক্রবার ৭৭ জন মাঙ্কিপক্স রোগীর সংখ্যা প্রকাশ করে। এদের অধিকাংশই কিউবেক প্রদেশের। ইউরোপে সমকামী উৎসব থেকে নতুন করে মাঙ্কিপক্স ছড়ালেও এটি সংক্রমণের ক্ষেত্রে যৌন সংসর্গ দায়ী নয় বলে মনে করা হচ্ছে। বরং আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকের সংস্পর্শে এলে অপরজনও এতে আক্রান্ত হচ্ছে।
মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে বর্তমানে দুটি অনুমোদিত ভ্যাকসিন রয়েছে। এর একটি এসিএএম২০০০ এবং অপরটি জেওয়াইএনএনইওএস। এ দুটি ভ্যাকসিন মূলত স্মলপক্স প্রতিরোধে তৈরি করা হয়েছিল।
সিডিসি বলছে, তাদের কাছে এসিএএম২০০০ এর ১০ কোটি ডোজ এবং জেওয়াইএনএনইওএস এর এক হাজার ডোজ মজুদ রয়েছে। এছাড়া স্মলপক্সের জন্য অনুমোদন দেয়া আরো দুটি ওষুধও মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে ব্যবহার করা হবে বলে সিডিসি জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত বুধবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবর্তনশীল আবহাওয়া পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে খাবার অনুসন্ধানের অভ্যাসসহ প্রাণী ও মানুষ তাদের আচরণ পরিবর্তন করছে। এর ফলে নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে একসময় যে রোগজীবাণুগুলো সীমাবদ্ধ ছিল তা আরো দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। তাছাড়া, মানুষ ও সংবেদনশীল প্রাণী প্রজাতির মধ্যে অনেক রোগ ফিরেও আসছে।